আগাম জাতের আমন ধান উঠতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। তবে ভরা মৌসুমেও বাজারে চালের দাম বাড়তি থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। উচ্চ মূল্যে চাল কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।
বাজারে চালের দাম আদৌ কমবে কি না, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন অনেকে।
আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সঙ্গতি ঠিক রাখতে না পারায় খেটে-খাওয়া, দিনমজুরদের অনেকেই হয়ে পড়ছেন ঋণগ্রস্ত। উপার্জনের বেশিরভাগ টাকাই তাদের ব্যয় হয়ে যাচ্ছে চাল কিনতে।
বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি চাল ৪৪-৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত চার মাস ধরে বাজারে চালের মূল্য প্রায় একইরকম আছে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এ বছর লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় ৮৫ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন।
আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর গ্রামের কৃষক সরবেশ আলী (৬৫) বলেন, এ বছর অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে ধানের ফলন কম হয়েছে। তবে প্রতি মণ ধান ৯৫০-১০০০ টাকা দরে বিক্রি করতে পেরে খুশি। গত বছর এই সময়ে প্রতি মণ ধান ৪০০-৪৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমি দশ বিঘা জমি থেকে ১০৯ মণ ধান পেয়েছি। মাত্র ১৫ মণ ধান বিক্রি করেছি ৯৮০ টাকা দরে। যদি ধানের দাম আরও বাড়ে, সেজন্য বাড়িতে ধান সংরক্ষণ করে রেখেছি।
লালমনিরহাট শহরের গোশালা বাজারের চাল বিক্রেতা বেলাল হোসেন জানান, তারা মিলারদের কাছ থেকে বেশি দামে চাল কিনছেন, তাই ক্রেতাদের কাছে বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে।
ধানের ভরা মৌসুমে চালের দাম না কমলে পরবর্তীতে চালের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
মিল মালিক আহমেদ আল বলেন, কৃষকেরা ধান বিক্রি করতে চাইছেন না। বেশি দামে ধান কিনে চাল প্রস্তুত করায় বাজারে চালের দাম কমছে না। তাছাড়া এ বছর চালের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই।
সূত্র :দ্য ডেইলি স্টার
আনন্দবাজার/ইউএসএস