সিলেটের কাঁচামাল-পুঁজি সংকটে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি। দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তকমা পাওয়া এ উপাদানটি ক্রমশ হারিয়ে যেতে বসেছে। এতোদিন কোনো রকম চালিয়ে নিলেও চলতি বছর করোনার কবলে পড়ে হারিয়ে যাচ্ছে অস্তিত্ব।
তবে স্থানীয় প্রশাসন বলছে, বর্তমানে শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখতে ব্যাপক প্রচেষ্টা চলছে। কারণ শীতল পাটির রাজ্য মৌলভীবাজারের সদর, রাজনগর, জুড়ি ও বড়লেখা উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। আর এক হাজারের বেশি পরিবার যুক্ত রয়েছে এ শিল্পের সাথে।
কারিগররা বলেন, বর্তমানে কাঁচামাল সংকট ও মূলধনের ব্যাপক অভাব রয়েছে। পাশাপাশি ন্যায্য মূল্য না পাওয়া ও প্লাস্টিক পণ্যের সাথে পেরে না ওঠায় অনেকেই এ পেশা ইতোমধ্যে ছেড়েছেন। করোনাকালে উৎপাদিত পণ্য অবিক্রিত থাকায় দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক সংকটও।
তবে এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেওয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।
উল্লেখ্য, ইউনেস্কার বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে এখানকার শীতল পাটি। ২০১৮ সালে সম্মাননা পেয়েছেন, রাজনগর উপজেলার ধূলিজুড়ার বাসিন্দা আরতি রানি ও অরুণ কুমার।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে