ঢাকা | বুধবার
২রা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোমরা বন্দরের চার মাসে রাজস্ব কমেছে ৪৪ কোটি টাকা

ভোমরা বন্দরের চার মাসে রাজস্ব কমেছে ৪৪ কোটি টাকা

ভোমরা বন্দরের গেল অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে আমদানিতে রাজস্ব কমেছে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা। মূলত এই বন্দর দিয়ে ফল আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ে এমন ভাটা পড়েছে বলে জানা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, এই স্থলবন্দরে বছরের মোট রাজস্ব আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসে বিভিন্ন প্রকার ফল আমদানি থেকে। কিন্তু চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে এ বন্দর দিয়ে ফল আমদানি কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। ফলে পণ্যটি আমদানির পাশাপাশি রাজস্বের পরিমাণও কমে গেছে ব্যাপক হারে।

এদিকে আমদানিকারকরা বলছেন, দেশের অন্যান্য বন্দরে ফল আমদানিতে যে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয় যার কিছুই পাওয়া যায়না এই বন্দর। যে কারণে ভোমরা বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্য বন্দর দিয়ে ফল আমদানি করছেন অনেক আমদানিকারক।

চলতি এই অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এ বন্দরে বিভিন্ন প্রকার ফল আমদানি হয়েছে ১৯ হাজার ৩৯৭ টন, যা থেকে সরকারের রাজস্ব অর্জিত হয়েছে ৬৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। তবে তা গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম বলে জানান বন্দরসংশ্লিষ্টরা। যার ফলে অর্থবছর শেষে সরকার বড় অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে।

ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, দেশের অন্যান্য বন্দরে ফল আমদানির ওপর যে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয় তা যদি ভোমরা বন্দরের ব্যবসায়ীদের দেয়া হতো, তবে পণ্যটির আমদানি যেমন বাড়ত, তেমনি সরকারের রাজস্বও অনেকাংশে বেড়ে যেত। কিন্তু ভোমরা বন্দরে সব সময় পণ্য আমদানিতে বৈষম্য করা হয়ে থাকে।

ভোমরা শুল্কস্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার আমীর মামুন বলেন, সরকারের নির্দেশ ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে এখানকার দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। কোনো ধরনের অবৈধ সুযোগ-সুবিধা কেউ যাতে না নিতে পারে, সে বিষয়ে নজরদারি রাখা হয়েছে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন