ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাহাজ ভাঙায় শীর্ষে বাংলাদেশ

বিশ্বে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের অধিকাংশ জাহাজ রিসাইকল হয় বাংলাদেশে। তবে এই বাজারে বাংলাদেশের পরে আছে ভারত এবং তুরস্ক।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে এ তিন দেশ মিলে বিশ্বের ৯০.৩ শতাংশ জাহাজ রিসাইকল করে। সম্প্রতি জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আংকটাড প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

তবে ‘রিভিউ অব ম্যারিটাইম ট্রান্সপোর্ট ২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে এসকল তথ্য নেওয়া হয়েছে ক্লার্কসনস রিসার্চ থেকে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বিশ্বের ৫৪.৭ শতাংশ জাহাজ রিসাইকল করে বাংলাদেশ। ২য় স্থানে থাকা ভারত রিসাইকল করে ২৬.৬ শতাংশ, ৩য় স্থানে তুরস্ক রিসাইকল করে ৯ শতাংশ, চতুর্থ স্থানে চীন রিসাইকল করে ৩.১ শতাংশ এবং পঞ্চম স্থানে থাকা পাকিস্তান রিসাইকল করে ২.২ শতাংশ। বাকি বিশ্ব রিসাইকল করে মাত্র ৪.৪ শতাংশ।

একটি জাহাজ ভেঙে টুকরা করে তার সকল সরঞ্জাম পুনরায় ব্যাবহারের জন্য উপযোগী করাই হচ্ছে রিসাইকল, যা বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙা শিল্প হিসেবে পরিচিত। প্রতিবেদনে আ্ররও বলা হয়, ২০১৭ সালের চেয়ে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে জাহাজ ভেঙে পুনর্ব্যবহার উপযোগী করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯.১ শতাংশ। কিন্তু ২০১৯ সালে এসে তা আগের চেয়ে আবার কমে যায় ২২.৭ শতাংশ।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বাংলাদেশের জন্য জাহাজ ভাঙা শিল্প একটি বড় সম্ভাবনা। তবে করোনা মহামারিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে এ শিল্পও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আংকটাডের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনায় চলতি বছরের মার্চ থেকে লকডাউনের কারণে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে জাহাজ রিসাইকল থেমে যায়। ফলে জুন থেকে ভারতের ইয়ার্ডগুলোতে জাহাজ রিসাইকল করা হয় সক্ষমতার মাত্র ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ।

উল্লেখ্য, একটি জাহাজ কয়েক দশক চালানোর পর যখন এটিকে চলাচলের অনুপযুক্ত ঘোষণা করা হলে, তখন এ জাহাজটি ভেঙে টুকরা সকল সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি আলাদা করে ফেলা হয়। তারপর জাহাজের সব মূল্যবান জঞ্জাল রিসাইকল বা পুনর্ব্যবহার উপযোগী করা হয়। এসব জাহাজের অন্যতম বড় ক্রেতা বাংলাদেশ।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন