চলতি বছর ২০০ কোটি ডলার বেশি ছাড় করার লক্ষ্য থাকলেও প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অর্থ ছাড়ে গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৬ কোটি ডলার পিছিয়ে পড়েছে সরকার।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী অর্থছাড় করতে সরকারকে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সব দাতা দেশ ও সংস্থা মিলে বাংলাদেশের অনুকূলে ৯৪ কোটি ডলার ছাড় করেছে, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ প্রতিবেদন এ তথ্য উঠে এসেছে।
চলতি অর্থবছরের ৮৪৭ কোটি ডলার দাতাদের কাছ থেকে ছাড় করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। গত অর্থবছরে এই লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৩৫ কোটি ডলার। তবে শেষ পর্যন্ত ৬২০ কোটি ডলার ছাড় করা সম্ভব হয়েছিল।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইআরডির অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব পেয়ার মোহাম্মদ বলেন, “দাতারা ঋণ চুক্তি করে প্রকল্পের বিপরীতে। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়লে অর্থছাড়ও বাড়বে।”
তিনি আরো বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে লক্ষ্য অনুযায়ী বৈদেশিক সহায়তার প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারেনি বলে এবার অর্থছাড়ও পিছিয়ে।
প্রথম তিন মাসে দাতাদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ২০১ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। তবে গত অর্থবছরের একই সময় পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল ১৮২ কোটি ডলারের।
দাতাদের পুঞ্জিভূত পাওনা থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ ৪৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে। গত অর্থবছরের এই সময়ে দাতাদের কাছে বাংলাদেশ ৪৪ কোটি ৩৩ লাখ ডলার পরিশোধ করেছিল।
আনন্দবাজার/এম.কে