শীত মৌসুমে পাম অয়েল জমাট বেঁধে যায় বলে সাধারণত চাহিদা বাড়ে সয়াবিন তেলের। এতে সয়াবিনের দাম বাড়লেও নিম্নমুখী থাকে পাম অয়েলের বাজার। তবে এবারের বাজারচিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। সমানতালে বেড়ে চলেছে সয়াবিন ও পাম অয়েল উভয়েরই দাম। শুধু তা-ই নয়, মূল্য বৃদ্ধিতে প্রতি মাসেই ভেঙে চলেছে অতীতের রেকর্ড।
গত মাসের শুরুতে সয়াবিনের মণপ্রতি (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) দাম ছিল ৩ হাজার ৪৫০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। এরপর প্রতি সপ্তাহেই বাড়তে থাকে পণ্যটির দাম। সর্বশেষ গতকাল প্রতি মণ সয়াবিন ৩ হাজার ৬৮০ থেকে ৩ হাজার ৭০০ টাকায় লেনদেন হয়েছে।
অন্যদিকে সরবরাহ কম থাকায় পাম অয়েলের দামও বাড়তির দিকে। গতকাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে, চট্টগ্রামে এস আলম গ্রুপের প্রতি মণ মিলগেট থেকে সরাসরি উত্তোলনযোগ্য পাম অয়েল ৩ হাজার ৩৫০ টাকা, সিটি গ্রুপের প্রতি মণ পাম অয়েলের ডিও ৩ হাজার ২৬০ টাকা, টিকে গ্রুপের প্রতি মণ পাম অয়েলের ডিও ৩ হাজার ১৬০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।
তবে ঢাকার মিলগুলো থেকে মেঘনা গ্রুপের সরাসরি উত্তোলনযোগ্য পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪০০ এবং বসুন্ধরা পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪২০ টাকা দরে। পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানির সুপার পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ৩ হাজার ৫৫০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা দরে।
জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নাজিম বলেন, স্বাভাবিক সময়ে দেশে সয়াবিনের দাম মণপ্রতি ৩ হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। চাহিদা বৃদ্ধিজনিত কারণে শীত মৌসুমে দাম কয়েকশ টাকা বাড়ে। তবে এ বছর সয়াবিনের দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। নভেল করোনাভাইরাসের কারণে ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা এ সংকটকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে বলে মনে করছেন তিনি।
আনন্দবাজার/শহক