করোনায় অনলাইনে মাছ বিক্রি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এক ক্লিকেই মুহূর্তের মধ্যেই নদী-খালবিলের মাছ পৌঁছে যাচ্ছে বাসায় বাসায়। সহজেই ঘরে বসে ক্রেতা মাছ দেখে মূল্য পছন্দ হলে অর্ডার দিচ্ছেন।
ফলে করোনায় ভিড় এড়ানোর সুযোগ হিসেবে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাইন মাছ বাজার। চাহিদা অনুযায়ী সময়মতো পণ্য পৌঁছে দেওয়াই চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা।
দেশে মাছ বাজার মানেই ব্যাপক ভিড়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরে থাক, পানি-কাঁদায় প্যাচপ্যাচে পথ মাড়িয়ে অনেক মুশকিল হয়ে যায়। কিন্তু সৌখিন ক্রেতারা চান সেরা মাছ।
তাই বাজারের এই ভিড় এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ যাদের একেবারেই ভালো লাগে না, তাদের ভরসার জায়গা অনলাইন মাছ বাজার। দেশের নানা জেলা থেকে মাছ এনে পছন্দমত অর্ডার অনুযায়ী কেটেকুটে প্যাকেট করে পৌঁছে দেওয়া হয় ক্রেতার হাতে।
আস্থা ও বিশ্বাসই অনলাইনে কেনাকাটার বিষয়ে ক্রেতারা জানান, পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে পারলে সহজেই বৃদ্ধি এই ব্যবসার পরিধি। কারণ হিসেবে তারা আরও জানান, অনলাইন থেকে মাছ কিনলে গুনগতমানের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়। সেই সাথে বাজারে ভিড়ের মধ্যে এই করোনাকালে স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
ফলে করোনাকালে জনপ্রিয় হওয়া এ বাজারে ব্যবসার সুযোগের পাশাপাশি বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিযোগিতাও। অনলাইনে তারাই এই ব্যবসা ভালো করছেন যারা ক্রেতাকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মাছ সরবরাহ করছেন। অর্থাৎ, ক্রেতার আস্থা খুব ভালোভাবে অর্জন করতে পারছেন।
উদ্যোক্তাদরা জানান, এখানে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দ্রুত পচনশীল এই পণ্যটিকে তাজা অবস্থায় বা মান নষ্ট হওয়ার আগে ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেওয়া।
উল্লেখ্য, একেকজন উদ্যোক্তার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ ডেলিভারিতে গড়ে ৫০ কেজি মাছ বিক্রি হয়।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে
