ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষকদের ৯৮ কোটি টাকার সহায়তা দিবে সরকার

প্রায় ১১ লাখ কৃষককে সার ও বীজ সহায়তা দিবে সরকার। কয়েকদফা বন্যা ও টানা বৃষ্টির কারণে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং রবি মৌসুমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পুনর্বাসন কর্মসূচির অধীনে ৯৮ কোটি ৫৪ লাখ ৫৫ হাজার ৩০০ টাকার সার ও বীজ সহায়তা পাবে কৃষকরা।

জানা গেছে, রবি মৌসুমে খেসারি, চীনাবাদাম, গম, সরিষা, মসুর, সূর্যমুখী, টমেটো ও মরিচ ফসলের জন্য দেশের ৫১ জেলার অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক কৃষকদের বিনামূল্যে এই বীজ ও সার সহায়তা দেওয়া হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

আরও জানা গেছে,  ঢাকা, সুনামগঞ্জ, গাজীপুর, গাইবান্ধা, বরগুনা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, জয়পুরহাট, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ, চাঁদপুর, সিলেট,হবিগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পটুয়াখালী, নাটোর, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর,কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, যশোর, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, ভোলা, ফরিদপুর, মাদারীপুর,রাজবাড়ী ও শরীয়তপুর জেলার কৃষকরা এই পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় সহায়তা পাবেন।

এই কর্মসূচির অধীনে অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত প্রতি কৃষক এক বিঘা জমির জন্য মসুরের ক্ষেত্রে ৫ কেজি, চীনাবাদামের ক্ষেত্রে ১০ কেজি বীজ, সূর্যমুখীর ক্ষেত্রে এক কেজি বীজ, গমের ক্ষেত্রে ২০ কেজি বীজ, সরিষার ক্ষেত্রে এক কেজি বীজ, খেসারির ক্ষেত্রে ৮ কেজি বীজ,টমেটোর ক্ষেত্রে ০.০৫ কেজি বীজ এবং মরিচের ক্ষেত্রে ০.৩০ কেজি বীজ পাবেন।

এ ছাড়া প্রত্যেক কৃষক সর্বোচ্চ ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সারও পাবেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার ও উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন করতে কমিটি কৃষি সহায়তা উপকরণ বিতরণের জন্য ব্লক বা ইউনিয়ন ভিত্তিক বিতরণ রেজিস্টার এবং সংশ্লিষ্ট কৃষকের তালিকাসহ যাবতীয় হিসাব ও কাগজপত্র সংরক্ষণ করবেন। সেই সাথে কৃষকের তালিকার এক কপি সংশ্লিষ্ট উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কাছে পাঠাবেন।

এরপর উপ-পরিচালক সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলা থেকে পাওয়া কৃষকের তালিকার এক কপি সংরক্ষণ করবেন। আরেক কপি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠাবেন।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন