ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে আবারও রেকর্ড

একের পর এক রেকর্ড গড়েই চলেছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ৪১ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এই রিজার্ভ দিয়ে দেশের ১০ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। রিজার্ভ এই অবস্থানে পৌঁছেছে মূলত রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই। এছাড়া বৈদেশিক ঋণ সহায়তা ও রফতানি আয়ের ইতিবাচক ধারা রিজার্ভ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।

মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভে ১০০ কোটি ডলার যোগ হয়ে নতুন এই রেকর্ড গড়েছে। গত বুধবার (২৮ অক্টোবর) রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ০৩ বিলয়ন বা ৪ হাজার ১০৩ কোটি ডলার। এর আগে রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল গত ৭ অক্টোবর। এ নিয়ে মাত্র সাড়ে ৪ মাসে ৮ বার নতুন মাইলফলক অতিক্রম করলো দেশের রিজার্ভ।

করোনাভাইরাস প্রকোপের শুরুতে গত মার্চ মাস শেষে দেশের রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। এর পর মাত্র ৭ মাস পার না হতেই প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার বেড়ে এ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে রিজার্ভ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, রিজার্ভে ৮ বার রেকর্ড হয়েছে মাত্র ৪ মাসের ব্যবধানে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায় গত ৩ জুন। এর পর তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ২৪ জুন সেই রিজার্ভ ৩৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে রেকর্ড গড়ে। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ৩০ জুন রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৬ বিলিয়ন ডলার। এর এক মাস পর ২৮ জুলাই রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। এর তিন সপ্তাহ পর ১৭ আগস্ট ৩৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায় রিজার্ভ। ২ সপ্তাহের ব্যবধানে ১ সেপ্টেম্বর তা ৩৯ বিলিয়নের ঘর অতিক্রম করে। এর ৫ সপ্তাহ পর গত ৭ অক্টোবর ৪০ বিলিয়ন ডলার এবং এর তিন সপ্তাহ পর বুধবার ৪১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়ে দেমের রিজার্ভ।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১ জুলাই থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে ২ শতাংশ করে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এই প্রণোদনা দেওয়ার ফলে ২০১৯-২০ অর্থবছরের শুরু থেকে প্রতি মাসেই রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করে। তবে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনার প্রভাবে গত অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলে রেমিট্যান্সের গতি কিছুটা নিম্নমুখী হয়ে পড়েছিল। এর কিছুটা পরে তা আবার স্বাবাবিক হতে শুরু করে।

চলতি মাস অক্টোবরেও বড় অঙ্কের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এর পরিমাণ ছিল প্রায় ২০০ কোটি ডলার। তবে চলতি মাসের প্রকৃত হিসাব পাওয়া যাবে ১ নভেম্বর।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন