ঢাকা | রবিবার
৩রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এনআইডি সংশোধনে কড়া নির্দেশনা ইসির

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন করতে ‍সম্প্রতি কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই সাথে এ বিষয়ে বিলম্ব না করে দ্রুত সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য এনআইডি অনুবিভাগকে বলা হয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোন সমস্যা তৈরি হলে কমিশনের অনুমোদনের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ইসি সচিবালয়ের অক্টোবর ২০২০ মাসের সমন্বয় সভায় এসকল নির্দেশনা দেন ইসির সিনিয়র সচিব মো: আলমগীর।

এই ব্যাপারে সভায় যুগ্মসচিব (প্রশা: ও অর্থ) বলেন, যে সব শাখা/ ইউনিট বিগত মাসের নিষ্পন্ন ও অনিষ্পন্ন কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রতিবেদন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাখিল করেননি তাদেরকে যথা সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন প্রেরণের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেন।  সেই সাথে কোন শাখা-ইউনিট ও দপ্তরের অনিষ্পন্ন কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিষ্পন্ন করার বিষয়েও জোর দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, সুপারভাইজার, ভোটার নিবন্ধন ফরম-২ এ তথ্য সংগ্রহকারী, সনাক্তকারী ও যাচাইকারীর নাম, স্বাক্ষর ও এনআইডি নম্বর সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করার বিষয়টি সম্পূর্ণ নিশ্চিত করতে হবে। আর সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যদি এই ক্ষেত্রে গাফলতির প্রমাণ পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

দ্রুত এনআইডি সংশোধনের নির্দেশনা:

সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইসির সিনিয়র সচিব বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যাবলী অপরিবর্তনীয় মর্মে ধরেই সকলকে কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে কোন প্রমাণক যদি এনআইডি প্রস্তুতের পরে তৈরি হয় তাহলে শুধু সেটার ভিত্তিতে এনআইডি সংশোধন করা যাবে না। তবে বিশেষ প্রয়োজনে এনআইডি প্রস্তুতের সময়ে যদি দাপ্তরিক কারণে কোন ভুল হয় সেটা আইন, বিধি ও উপযুক্ত প্রমাণকের ভিত্তিতে সংশোধন করা যেতে পারে। এ বিষয়ে মহাপরিচালক, এনআইডি অনুবিভাগ উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন, জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কমিটির সভাপতির অনুমোদন গ্রহণ করে কমিশনের অনুমোদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।

এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে গাফলতি না করে দ্রুত সিদ্ধান্ত প্রদান করতে হবে। তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোন সমস্যা অনুভূত হলে তা পরবর্তী ক্যাটাগরিতে প্রেরণ করতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনে কমিশনের অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করতে হবে। বোর্ডের সনদকে ভিত্তি ধরেই সংশোধন কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

তবে এ ধরনের সংশোধনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রথমত বোর্ডের এসএসসি সনদ অনুযায়ী বয়স সংশোধন করতে হবে। দ্বিতীয় শিক্ষাগত সনদ না থাকলে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ভাইবোনের এনআইডি কপি এবং আইন, বিধি ও নীতিমালার আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তৃতীয় আইন, বিধি এবং নীতিমালা অনুসারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমস্যা অনুভূত হতে ক্যাটাগরি পরিবর্তন করতে হবে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন