মজুরি বাড়ানোর দাবিতে চলমান আন্দোলনে চা শ্রমিকদের মজুরি ১০২ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকা হয়েছে। এ চুক্তি কার্যকরে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব বর্ধিত মজুরি পাবেন চা শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা গেছে, মজুরি বাড়ানোর দাবিতে ৭ অক্টোবর থেকে মৌলভীবাজারসহ দেশের প্রায় সকল চা বাগানের শ্রমিকরা আন্দোলন করেন। বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মবিরতিসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন তারা। এর জেরে চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা ও চা সংসদের নেতারা বৈঠকে বসেন। কয়েক দফা বৈঠকের পর গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলস্থ প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিসে চলা সমঝোতা বৈঠকে মজুরি বৃদ্ধিসংক্রান্ত প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৈঠকে শারদীয় দুর্গাপূজার আগেই চা শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়ে নতুন মজুরি প্রদানের দাবি জানান নেতারা। অন্যদিকে, চা সংসদীয় নেতারা বর্তমান চায়ের বাজারের অবস্থা তুলে ধরে তার ওপর ভিত্তি করে নতুন মজুরির সিদ্ধান্ত নিতে বক্তব্য রাখেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভাপতি মাখন লাল কর্মকার, সহসভাপতি পঙ্কজ খন্দ ও বালিশিরা ভ্যালির কার্যকরী কমিটির সভাপতি বিজয় হাজরাসহ আরো অনেকে। অপরদিকে চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশী চা সংসদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন তাহসিন আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে নেতারা।
শারীর অসুস্থ থাকায় বৈঠকে উপস্থিত না থাকার কথা জানিয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাম ভজন কৈরি রাজু জানিয়েছেন, এ চুক্তি ২২ মাস আগেই হওয়ার কথা ছিল। এখন থেকে চা শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি ১০২ টাকার বদলে ১২০ টাকা পাবেন। আর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে। বৃহস্পতিবার একটি প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বর্ধিত উৎসব বোনাস পাবেন চা শ্রমিকরা।
আনন্দবাজার/এফআইবি
