গত বছর পেঁয়াজ নিয়ে কত তুলকালাম কান্ড ঘটে গেল তবুও কমেনি পেঁয়াজের ঝাঁঝ। তারসাথে দফায় দফায় বাড়ছে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও। কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য গবেষক, বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল ও কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।
মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। দেশে পেঁয়াজ নিয়ে সংকট চলছে। এ সংকট কিভাবে মোকাবিলা করা যায় এবং কতদিনের মধ্যে উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া যাবে সে বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে বসে শীঘ্রই কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে আমাদের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন করতে হবে। সরকার পেঁয়াজ চাষিদের বীজ, উপকরণ, প্রযুক্তিসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিবে। এ বিষয়ে কৃষকদের সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে, তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আগামী গ্রীষ্মকালে দেশের কোন উপজেলায় কতজন চাষী পেঁয়াজ আবাদ করবে তার তালিকা প্রণয়ন করতে হবে।
এসময় কৃষিমন্ত্রী আগামী দু’এক মাসের মধ্যে কৃষকদের তালিকা প্রণয়ন, পেঁয়াজ বীজের চাহিদা নিরূপণ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এছাড়া কৃষি উপকরণ নিয়ে দেশে এখন কোন হাহাকার নেই, সংকট নেই। কৃষকেরা সার, বীজসহ এসব উপকরণ সময় মতো, অত্যন্ত সহজে ও কোন ঝামেলা ছাড়াই পেয়ে যাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
আনন্দবাজার/ইউএসএস