প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে দেশের উন্নয়ন করাই সরকারের লক্ষ্য। প্রকৃতি রক্ষা করেই দুর্যোগ মোকাবিলার পরিকল্পনা থাকতে হবে। আজ (১৩ অক্টোবর) মঙ্গলবার সকালে গণভবন থেকে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল আয়োজনে তিনি এসব কথা বলেন।
একে তো করোনা মহামারি, তারওপর এ বছর একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ।
মে মাসের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আম্পান এ দেশের ক্ষতি হয়েছে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা, মারা গেছেন ১৬ জন। এ ছাড়া ৫ দফায় বন্যায় ৩৪ জেলা প্লাবিত হয়ে ক্ষতির মুখে পড়ে বসতবাড়িসহ ফসলের মাঠ, প্রাণহানি ঘটে ৪১ জনের।
এ বছর এমন বাস্তবতার মধ্যেই বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত হচ্ছে। এই অনুষ্ঠান থেকেই অনলাইনে দুর্যোগ সহনীয় নবনির্মিত ১৭ হাজার পাঁচটি বাসগৃহ উদ্বোধন ও চাবি হস্তান্তর এবং দুর্যোগ প্রস্তুতির জন্য ১৮ হাজার ৫০৫ জন নারী স্বেচ্ছাসেবকদের জাতীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অতীতের দুর্যোগ মোকাবিলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বর্তমানে কাজ করা হচ্ছে বলেই এখন প্রাণহানির পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করেই দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন করতে হবে। নদী খাল ধ্বংস করে কোনো কাজ করা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাস্তাঘাট যাই করি না কেন, আমি অনুরোধ করব নদ-নদী এগুলো যেন বাধাগ্রস্ত না হয়। জমির লোভে এসব বন্ধ করলে আমাদের ক্ষতি।
ব-দ্বীপ হওয়ায় মাঝেমধ্যেই দেশ দুর্যোগের কবলে পড়লেও, সেখান থেকে উত্তরণের টেকসই পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
আনন্দবাজার/ইউএসএস