করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হিমায়িত চিংড়ি রফতানি শিল্প। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এই করোনার কারণে বাংলাদেশ থেকে হিমায়িত চিংড়ির ২৯০টি ক্রয় আদেশ বাতিল করেছে বিদেশি ক্রেতারা। এতে দেশের চিংড়ি রফতানিকারকরা ৪৬০ কোটি টাকার (পাঁচ কোটি ৯৭ লাখ ডলার) ক্ষতিতে পড়েছেন। তবে জুলাই মাস থেকে করোনার ধাক্কা সামলে উঠতে শুরু করেছে এই খাত।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) সভাপতি কাজী বেলায়েত হোসেন বলেন, করোনা মহামারি শুরুর আগের তুলনায় করোনাকালীন আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ির দাম এক থেকে দেড় ডলার কমেছে। এর পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে রফতানিকারকরা চিংড়ি রফতানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন।
করোনাকালে চলতি বছরের এপ্রিল, মে ও জুন মাসে দেশের চিংড়ি শিল্পে বিপর্যয় চললেও রফতানিকারকরা তা দ্রুত কাটিয়ে উঠেছেন। বাংলাদেশ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে চিংড়ি রফতানি হয় ৩৩২.৬৫ মিলিয়ন ডলারের। ২০২০-২১ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪১৫ মিলিয়ন ডলার রফতানির। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এ তিন মাসে ৯৬.৭০ মিলিয়ন ডলারের চিংড়ি রফতানি হয়। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১.১০ শতাংশ কম এবং একবছর আগের একইসময়ের চেয়ে ৩.৩৫ শতাংশ কম।
রফতানিকারকরা অভিযোগ করে বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে আমরা করোনা মহামারির মধ্যেও কারখানার কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন ব্যাংকের জটিলতার কারণে এখনও কোনো রফতানিকারক সরকার ঘোষিত প্রণোদনার সুবিধা পাননি।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস