চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গত ৩ দিনে ছাড় হলো ১৯৯ টন পেঁয়াজ। ইতোমধ্যে বিকল্প ১৩ টি দেশ থেকে পৌনে সাত লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছেন দেশের আমদানিকারকরা। তবে চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৫১ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র দেওয়া হয়।
বিকল্প দেশগুলো থেকে সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আসাতে অনেকটাই সংকট কমেছে মসলা জাতীয় পণ্য পেঁয়াজের। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কনটেইনারে চট্টগ্রাম বন্দরে ২৫৮ টন পেঁয়াজ পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে গেল ৩ দিনে ১৯৯ টন পেঁয়াজ ছাড় করে নিয়ে গেলেন আমদানিকারকরা। সমুদ্রপথে আরও কয়েক হাজার টন পেঁয়াজ আসছে। ফলে এতে দেশের পেঁয়াজের সংকট ও মূল্য দুটোই কমে যাবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বুলবুল জানান, ইতোমধ্যে গেল বুধবার পাকিস্তান থেকে আমদানিকৃত সজিব এন্টারপ্রাইজের ২৯ টন পেঁয়াজের ছাড়পত্র ইস্যু করা হয়। সেই সাথে সোমবার ও মঙ্গলবার মিলে মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকে আসা ১৭০ টন পেঁয়াজের ছাড়পত্র ইস্যু করেছি। এ নিয়ে গত তিন দিনে মোট ১৯৯ টন ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
এছাড়া, এ কেন্দ্র থেকে আরও এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৫ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য ৩৩৯টি অনুমতিপত্র (আইপি) নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এসব পেঁয়াজ চীন, মিয়ানমার, মিসর, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, সাউথ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ইউক্রেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও পাকিস্তান থেকে এসব পেঁয়াজ আনবেন তারা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে পেঁয়াজভর্তি কনটেইনার খুব দ্রুত খালাস করার নিদের্শনা আছে। আর কিছু ছাড়ের অপেক্ষায় আছে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে