ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনার কালে ৩ হাজারেরও বেশি নতুন কোটিপতি

করোনাতে বেশিরভাগ মানুষের আয় কমলেও এপ্রিল থেকে জুন তিন মাসে ব্যাংক খাতে কোটি টাকার আমানতের সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ৪১২টি। বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈষম্যমূলক অর্থনীতির কারণে জিডিপি প্রবৃদ্ধির সুফল গুটিকয়েক মানুষের কাছেই জমা হচ্ছে। কর ব্যবস্থার উন্নয়ন আর টেকসই কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আয়বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

বিবিএসএর সবশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশে দরিদ্র ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিনকোটি। বিভিন্ন উন্নয়ন ও গবেষণা সংস্থার তথ্যমতে, করোনা মহামারির ছয়মাসে আরো দেড় কোটি মানুষ নেমেছে দারিদ্র সীমার নিচে।

করোনায় গতি হারানো অর্থনীতির অন্য পিঠে অবশ্য আছে নতুন ধনীর পরিসংখ্যান। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংক খাতে কোটি টাকার আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৬ হাজার ৩৭ জন। গত মার্চ শেষে এই সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫ জন। বিশ্লেষকরা বলছেন এটা দেশের আয়বৈষম্য বৃদ্ধির স্পস্ট চিত্র।

সাবেক ডেপুটি গভর্ণর ইব্রাহীম খালেদ বলেন, ‘অধিকাংশ মানুষের ভাগ্যকে অবনত রেখে নতুন কয়েকজন কোটিপতি হয়। সেই নিয়মে গত ৩ মাসে ৩ হাজারের মত কোটিপতির জন্ম হয়েছে।

২০১৬ সালের খানা জরীপে দেখা যায়, দেশের নিচের স্তরের ১০ শতাংশ মানুষের হাতে আছে দেশজ আয়ের প্রায় ১ শতাংশ আর ওপরের স্তরের ১০ শতাংশ ধনীর আয় ৩৭ শতাংশ । অর্থনীতিবিদরা বলছেন, টেকসই ও মানবিক উন্নয়ন নিশ্চিতে প্রয়োজন সম্পদের সুষম বন্টন।

ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ‘দেশের এই আয় বৈষম্যটা উন্নয়নের যে মান সেটিকে কমিয়ে দেয়। এটা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে দেশের নানান কিছুর মধ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।’ ২০০৮ সালে দেশের ব্যাংকখাতে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিলো ১৯ হাজার ১৬৩ জন, গত এক যুগে যা বেড়েছে সাড়ে চার গুণের বেশি।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন