করোনাভাইরাসের প্রকোপে থমকে ছিল পুরো বিশ্বের অর্থনীতি। এবার দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। খুলে দেওয়া হয়েছে অফিস-আদালত, ব্যবসাকেন্দ্র ও বিভিন্ন কল-কারখানা। করোনার প্রভাবে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় বিভিন্ন খাতে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এরই মধ্যে উদ্যোক্তারা এই প্যাকেজের টাকা নেওয়া শুরু করেছেন।
এনবিআরের তথ্য বলছে, গত জুন মাসে আগের বছরের জুনের তুলনায় রাজস্ব আহরণের প্রবৃদ্ধি কমেছিল এক দশমিক ২৮ শতাংশ। আর জুলাই মাসে আগের বছরের জুলাই মাসের তুলনায় সরকারের আয় কমেছে ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সব কিছু খুলে দেওয়া হলেও এখনও ব্যবসা-বাণিজ্যের মন্দাভাব চলছে। যে কারণে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আহরণ করতে পারছে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।
এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর দৈনিক আনন্দবাজারকে বলেন, ‘মানুষ জীবিকার প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে। ধীরে ধীরে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু সেটা এমন নয় যে, সবকিছু আগের মতো হয়ে গেছে। আগের মতো হতে আরও একবছর সময় লেগে যাবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, সবকিছু যে ঠিক হয়নি তার প্রমাণ রাজস্ব আয়ের নিম্নমুখী চিত্র।
এনবিআরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাইয়ে আমদানি-রফতানি পর্যায়ে ও স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ১৪ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা। ৪ হাজার ৬২২ কোটি টাকা ঘাটতি হয়েছে। যদিও জুলাই মাসে লক্ষ্য ছিল ১৯ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। ফলে জুলাই মাসে ঘাটতি হয়েছে ৪ হাজার ৬২২ কোটি টাকা।
আনন্দবাজার/ইউএসএস