রফতানিতে আশা জাগাচ্ছে দেশের তৈরি বাইসাইকেল। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বাইসাইকেল রফতানি থেকে আয় হয়েছে এক কোটি ৮৭ লাখ ডলার বা প্রায় ১৫৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা হিসাবে)।
রফতানিকারকরা জানান, গত দুই মাসে করোনা শুরুর পরের সময় থেকে ক্রয়াদেশ বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি। যদিও কাঁচামাল আমদানির ধীরগতির কারণে যথাসময়ে পণ্য রফতানিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। করোনার কারণে কাঁচামাল আমদানিতে ধীরগতি রফতানিমুখী কারখানার উৎপাদনে বাধার সৃষ্টি করছে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) আগস্ট মাসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের বাইসাইকেলে রফতানি আগের বছরের আগস্টের চেয়ে বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। এ সময় আয় হয়েছে এক কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার। গত বছরের একই সময়ে আয় হয় এক কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর চলতি অর্থবছরের আগস্টে লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার ডলার। লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় বেড়েছে ১৩.০৬ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাইসাইকেল রফতানি থেকে আয় হয়েছে আট কোটি ২৮ লাখ ডলার। আর চলতি অর্থবছরে বাইসাইকেল রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ কোটি ডলার।
দেশে তৈরি বাইসাইকেলের প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয়। বাকি ৩০ শতাংশ খুচরা যন্ত্রাংশ আসে চীন, কোরিয়া ও তাইওয়ান থেকে। সাশ্রয়ী হওয়ার ফলে দেশের বাইসাইকেলের চাহিদা বাড়ছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের দেশগুলোতে। বর্তমানে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ও মেঘনা গ্রুপসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বাইসাইকেল উৎপাদন করছে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, বিশ্বজুড়ে বাইসাইকেলের চাহিদা বেড়েছে। কার্যাদেশ পাওয়া যাচ্ছে। করোনা শুরুর পর থেকে বর্তমানে ৩০ শতাংশ বেশি চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া বাইসাইকেলের স্থানীয় ১২০০ কোটি টাকার বাজারেও স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ৩০ শতাংশের বেশি অবদান আছে। এছাড়া সরকার নীতি সহায়তার মাধ্যমে সাইকেল আমদানি নিরুৎসাহিত করলে স্থানীয় বাজারেও দেশি পণ্যের চাহিদা দ্বিগুণ করা সম্ভব।
বংশালের সাইকেল বিক্রেতা রফিক মিয়া জানান, করোনাকালে গণপরিবহন এড়িয়ে চলায় দেশেও বাইসাইকেলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। অফিসে যাতায়াতের জন্য অনেকে বাইসাইকেল কিনে নিচ্ছেন।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস