ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝুঁকিতে দেশের অর্থনীতি

শেষ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে সবচেয়ে বৈরী অবস্থা পার হয়েছে । এই সময় (২০১৯-২০) এনবিআর-নন-এনবিআর যৌথভাবে সার্বিক রাজস্ব ঘাটতি গিয়ে ঠেকেছে দেড় লাখ কোটি টাকায়। আর এই অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি ছিল অপ্রত্যাশিত। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে এনবিআর খাতে রাজস্ব আদায় হ্রাস পেয়েছে ২৫ শতাংশ।

রাজস্ব আদায় হ্রাস পাওয়ার কারণে সরকারের পুঞ্জীভূত ঋণও বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে এই ঋণ প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। নৈরাশ্যজনক রাজস্ব আদায়ের প্রভাবে ঝুকিঁতে পড়েছে চলতি অর্থবছরের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। এতে সরকারের ব্যাংক ঋণ নির্ভরতা এক দিকে বৃদ্ধি পাবে অন্য দিকে প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন দুরূহ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

অর্থ বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজস্ব ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার কারণে গত অর্থবছরে সরকারের পুঞ্জীভূত মোট অভ্যন্তরীণ ঋণ এবং নিট ঋণও বেড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে সরকারের মোট অভ্যন্তরীণ ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ২ হাজার ৬৩৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা মো: আজিজুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে আমি নতুন করে কিছু বলতে চাই না। এখন এনবিআরের উচিত হবে রাজস্ব আদায় কিভাবে বাড়ানো যায় তার দিকে মনোযোগ দেয়া।

আমাদের এখানে ট্যাক্স অ্যাভেশন বা কর ফাঁকি হয় প্রচুর। এটি যেমন আয়কর খাতে হয়, তেমনি ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন খাতেও হয়। ব্যবসায়ীরা অনেক জিনিস বিক্রি করে কিন্তু ক্রেতাদের কোনো রসিদ দেয় না। এতে করে যে রাজস্ব আদায় হওয়ার কথা তা সরকারের কোষাগারে জমা হয় না।

এনবিআরের উচিত রাজস্ব আদায়ের টার্গেটের কাছাকাছি যেতে হলে এই কর ফাঁকি কিভাবে বন্ধ করা যায় তার উদ্যোগ নেয়া।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন