ঢাকা | রবিবার
১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাণিজ্য সম্প্রসারণে প্রয়োজন বাংলাদেশ-ভারতের সংযোগ বৃদ্ধি

বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে রপ্তানিতে এখনও অনেকটা পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। রপ্তানির থেকে  ভারত থেকে আমদানিই বেশি হয়। এজন্য দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি করা খুবই প্রয়োজন।

বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশন এবং ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘সমৃদ্ধ অগ্রগতি ও উন্নয়নের জন্য সংযোগ’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারে এ মন্তব্য করেন বক্তারা।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সড়ক, রেলপথ ও জলপথে সংযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে উদীয়মান ব্যবসা এবং বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেওয়ার উদ্দেশে ওয়েবিনারটির আয়োজন করা হয়। এতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম অনুষ্ঠানে দুই দেশের মধ্যকার দৃঢ় সম্পৃক্ততা এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাবের উল্লেখযোগ্য কিছু উদাহরণ তুলে ধরেন।

এই ব্যাপারে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিশ্বে এমন অন্য আর দুটি দেশ নেই, যারা আমাদের মতো বন্ধুত্বপূর্ণ বন্ধনে আবদ্ধ। করোনায় সংকট কমিয়ে আনা এবং সহায়তা প্রদানের জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নে করণীয় ব্যাপারে উভয় দেশের যোগ্য নেতৃত্বের মূল্যবান ভাবনাই আমাদের বর্তমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতিফলন।

দুই দেশের মধ্যকার যোগাযোগ উন্নয়নের উদ্দেশে চলমান প্রকল্পগুলোর কথা তুলে ধরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার এবং ওয়েবিনারের অন্যতম বক্তা রিভা গাঙ্গুলি দাস বলেন, ‘আমরা অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি নির্ধারণ এবং আসিয়ানের উদ্যোগকে শক্তিশালী করার জন্য সবসময় বাংলাদেশের দিকেই ঘুরে তাকিয়েছি এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সুবিধার্থে আমাদের সীমান্তগুলোতে যাতে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা বের করে আনা যায়, সে লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআর, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন শাখাসহ সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ শাখা যেমন এফবিসিসিআই, আইএমসিসিআই, সিসিসিআই’র মতো সংগঠনগুলোর সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে বলেন, বাংলাদেশের যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য আমরা মন্ত্রিসভা পর্যায়ে বেশ কয়েকটি নতুন রুটের অনুমতি নিয়েছি, এমনকি যা আমরা নেপাল, মিয়ানমার, চীন এবং প্রতিবেশী অন্যান্য অঞ্চলেও প্রসারিত করছি। তবে ভারত সবচেয়ে বড় বন্ধু হয়ে আমাদের পাশে ছিল এবং আমাদের সহযোগিতামূলক একতাই আগের বাণিজ্যকে আসিয়ানের মতো শক্তিশালী করতে পারে। মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি নিহাদ কবির।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন