ঢাকা | শনিবার
১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেড় বছরেও খাসজমি বরাদ্দ পায়নি চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডেলিং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিগত কয়েক বছর আগে হালিশহরে বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের উদ্যোগ নেয়। এর মধ্যে আড়াই বছর আগে ব্যক্তি মালিকানাধীন ৬৮ একর জমি অধিগ্রহণ করে। তবে দেড় বছর আগে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটি বে-টার্মিনালের জন্য প্রস্তাবিত ৮০৩ একর খাসজমি অধিগ্রহণের অনুমোদন দেয়। কিন্তু দেড় বছর হলেও এখনও জমি বুঝে পায়নি চবক। বে-টার্মিনাল নির্মাণের মতো একটি অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পের ধীরগতি হতাশ করছে বন্দর ব্যবহারকারীদের।

এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে থেকে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের তীরে দক্ষিণ কাট্টলি রাসমনিঘাট এলাকায় ‘বে-টার্মিনাল’ প্রকল্পের জন্য নির্মাণ করা হবে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। তবে এ প্রকল্পের জন্য প্রস্তাবিত মোট ৮৭১ একর জমির মধ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন ৬৮ একর অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এ জমির জন্য ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে ৩৬৮ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষকে। অপরদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ৮০৩ একর খাসজমি বরাদ্দ অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটি।

জানা গেছে, ফিজিবিলিটি স্টাডিতে বে টার্মিনালের জন্য এক হাজার ৫০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল, এক হাজার ২২৫ মিটার দীর্ঘ কনটেইনার টার্মিনাল-১ এবং ৮৩০ মিটার দীর্ঘ কনটেইনার টার্মিনাল-২ নির্মাণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মোট জেটির সংখ্যা ১৩টি, যার দৈর্ঘ্য থাকবে তিন হাজার ৫৫৫ মিটার। সাগরের ঢেউ থেকে টার্মিনালটি রক্ষা করার জন্য একটি পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট ব্রেকওয়াটার নির্মাণ করতে হবে। এ প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালে ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) প্রস্তাবিত অত্যাধুনিক বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে দ্য পোর্ট অব সিঙ্গাপুর অথরিটি (পিএসএ) বা পিএসএস টার্মিনাল ও সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালকে (আরএসজিটি) সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-ব্যবস্থাপক (ভূমি) জিল্লুর রহমান জানান, বে-টার্মিনাল নির্মাণের জন্য এখনও খাসজমি বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এবং কবে পাওয়া যাবে সেটাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

এ দিকে জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, ভূমি বরাদ্দ কমিটিতে অনুমোদন হওয়ায় এখন অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান আছে। বর্তমানে চারটি ধারায় নোটিস দেওয়া হয়েছে, যা চলমান আছে। এ কাজ শেষ হলে মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠানো হবে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন