ঢাকা | রবিবার
২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পোশাক খাতে ৩ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার পুনরায় রপ্তানি হচ্ছে

করোনা তৈরি পোশাক খাতের আটকে যাওয়া ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের অর্ডার পুনরায় রপ্তানি করেছে দেশীয় গার্মেন্টস মালিকেরা। এইদিকে পুরাতন অর্ডার ফিরে আসার পাশাপাশি বিদেশি ক্রেতাদের নতুন অর্ডারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে কম দামি পণ্যে অর্ডার তুলনামূলক বেশি আসায় কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

জুন ও জুলাই মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার টিইউএস কন্টেইনার পণ্য। শুধুমাত্র জুলাই মাসে গত ১৮ মাসের রেকর্ড ভেঙে ৭২ হাজার ৩৫৯ টিইউএস কন্টেইনার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আর রপ্তানি পণ্যের সিংহভাগ তৈরি পোশাক। করোনা দুর্যোগে আটকে যাওয়া অর্ডার ফিরতে শুরু করায় রপ্তানি বাণিজ্যের ঊর্ধগতি বলে মনে করেন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা।

বিজিএমইএ পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ বলেন, আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় যে পোশাকগুলো আছে, সেই অর্ডারগুলো আসছে।

করোনা সংক্রমণের শুরুর পর প্রথম চার মাসে অন্তত সাড়ে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্ডার বাতিল করে, পাশাপাশি অনেক অর্ডার স্থগিত করে বিদেশি ক্রেতারা। এখন পুরানো অর্ডারের কারণে এই খাতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরলেও নতুন অর্ডার নিয়ে কিছুটা সংশয়ে রয়েছে বিজিএমইএ।

বিজিএমইএ সহ সভাপতি এ এম চৌধুরী সেলিম বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে অবকাঠামোগত সুবিধা অন্য দেশের থেকে অনেক ভালো। গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের মতে, বিদেশি ক্রেতাদের আস্থায় রাখতে কাঁচামাল আমদানি থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি পর্যন্ত সব ধরনের জটিলতা দ্রুত কাটাতে হবে।করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ২৬ মার্চ বন্ধ হয়ে যায় সবগুলো গার্মেন্টস কারখানা। তবে গত ২৬ এপ্রিল থেকে সীমিত আকারে গার্মেন্টসগুলো খুলে দেয়া হয়।

 

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন