ঢাকা | শনিবার
২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাটের দামে কৃষকের মুখে হাঁসি

কয়েক বছর ধরেই পাটের দাম ভালো যাচ্ছে। গত বছর সিজনের শুরুতে ১৫০০-১৬০০ টাকা মণ দরে পাট বিক্রি হলেও পরে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত মণ বিক্রি করেছেন কৃষকরা। এবার সিজনের শুরুতেই পাটের দাম ভালো।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, গত বছর দেশে ৬৮ লাখ বেল (এক বেলের ওজন ১৮২ কেজি) পাট উৎপন্ন হয়েছিল। চলতি মৌসুমে ৮২ লাখ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। মোট তিন লাখ ১৬ হাজার ৪৯৪ হেক্টর জমিতে এবার পাটের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধেক পাট কাটা হয়েছে। এবার ২৬ হাজার ৯৬ হেক্টর জমির পাট বানের পানিতে ডুবে গেছে। তারপরও গত বছরের চেয়ে এবার পাটের উৎপাদন বেশি হবে বলে আশা করছেন অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

কৃষি তথ্যসেবার সূত্র অনুযায়ী দেশের ৪০ লাখ চাষি পাট চাষ করেন। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চার কোটি মানুষের জীবিকা পাটকে কেন্দ্র করে। প্রতি বছর মৌসুমে গড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পান কৃষক। দেশের প্রায় সব জেলাতেই পাট উৎপন্ন হয়। তবে বেশি উৎপন্ন হয় ফরিদপুর, যশোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, টাঙ্গাইল ও জামালপুর জেলায়। এসব জেলার পাটচাষিরা এবার পাটের ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি।

সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার সোনামুখী গ্রামের পাটচাষি মান্নান বলেন, এবার পাটের যেমন ভালো দাম, তেমনি পাট খড়িরও ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। এবার সিজনের শুরুতেই দুই হাজার টাকার ওপরে উঠেছে পাটের দাম।

তিনি বলেন, অনেক দিন পর পাট আবাদ করে লাভের মুখ দেখলাম। তিন বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছি। যে দাম আছে তাতে খরচ বাদ দিয়ে ধানের চেয়ে বেশি লাভ হবে।

পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক সওদাগর মোস্তাফিজুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব) বলেন, এবারতো সিজনের শুরু থেকেই কৃষক পাটের ভালো দাম পাচ্ছে। ভালো দাম পেয়ে কৃষক আগামীতে পাটচাষে আরও উৎসাহিত হবেন। তিনি বলেন, এবার পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮২ লাখ বেল। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৪ লাখ বেল বেশি।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন