ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম

বোরো মৌসুম শেষ হতে না হতেই বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম পাইকারিতে বস্তাপ্রতি বেড়েছে ৭৫ থেকে ১০০ টাকা। খুচরা পর্যায়ে বেড়েছে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা পর্যন্ত।

চালকল মালিকরা জানান, বেশি দামের আশায় কৃষক ও আড়তদার পর্যায়ে ধান মজুদ হয়ে গেছে। বন্যার কারণেও অনেক হাটে ধান আসছে কম। এতে ধানের দাম বাড়ছে, যার প্রভাব পড়েছে চালের দামে।

চালকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, মিল পর্যায়ে ঈদের সপ্তাহখানেক আগে চালের বস্তা (৫০ কেজি) ছিল দুই হাজার ৪৭৫ টাকা, ঈদের সময় তা বেড়ে হয় দুই হাজার ৫০০ টাকা। ঈদের পর কয়েক দিনে আরো ২৫ টাকা বেড়ে দুই হাজার ৫২৫ টাকায় উঠেছে। এই দাম এক-দুই সপ্তাহ পর্যন্ত আরো কিছুটা বাড়বে। কারণ এখন যারা ধান কিনছেন, সেগুলোর দাম আগের চেয়ে আরো বেশি।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাল উৎপাদন খরচের ক্ষেত্রে মৌসুমে বিদ্যমান সর্বনিম্ন দামে মিল মালিকরা যে ধান কেনেন সেটি থেকে কেজিপ্রতি চাল উৎপাদনে ২৭ দশমিক ৮৬ টাকা খরচ হয়। অন্যদিকে সর্বোচ্চ দাম বিবেচনায় কেজিপ্রতি চাল উৎপাদনে ৩৫ দশমিক ৮০ টাকা খরচ হয়। গড়ে এক কেজি চাল উৎপাদনে ৩২ দশমিক ৩৪ টাকা ব্যয় হয়। বিদ্যুৎ বিল, যানবাহন ও শ্রমিক খরচ বাড়ার কারণে এই বছর ৮.৩৫ শতাংশ খরচ বাড়লেও সরকার ঘোষিত দামে চাল বিক্রি করে মিল মালিকরা লাভবান হচ্ছেন।

খুচরা বাজারে গত শুক্রবার মাঝারি মানের মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ৬০০ থেকে দুই হাজার ৭০০ টাকা বস্তা (৫০ কেজি) বা ৫৩-৫৪ টাকা কেজি। ঈদের আগে যা ছিল দুই হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৬০০ টাকা। মানিকনগর বাজারের মরিয়ম স্টোরের বিক্রেতা আলমগীর জানান, ঈদের পর চালের দাম বেড়েছে। ভালো মানের ব্রি-২৮ চাল ঈদের আগে ছিল কেজি ৪৬-৪৮ টাকা, আর এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা দরে। ৫৪ টাকার নাজিরশাইল এখন ৫৮ টাকা কেজি। মোটার মধ্যে স্বর্ণা দুই টাকা বেড়ে ৪০ টাকা কেজি হয়েছে। অন্যদিকে পাইজাম ৪৬ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন