ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর। ১১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই তাদের কারখানার নির্মাণকাজ শুরু করেছে। আগামী বছর নির্মাণকাজ শুরু করবে আরও ২০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটির (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী এ কথা জানিয়েছেন।
বেজা সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর উন্নয়নে ব্যয় করা হচ্ছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। এ শিল্পনগরীটিকে করা হবে স্মার্টসিটি। পণ্য আমদানি-রফতানির জন্য এখানে থাকবে একটি সমুদ্রবন্দর। এছাড়া সোনাগাজী অর্থনৈতিক অঞ্চলে নির্মাণ করা হবে বিমানবন্দরও। মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে দুটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে ২৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নতকরণের কাজ। এগুলোর মধ্যে বেজা করছে ১৫ কিলোমিটার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ করছে ১০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১৮টি কালভার্ট নির্মাণের কাজ শেষ করেছে বেজা। এছাড়া ৫১, ৫৭ ও ২৫ মিটারের তিনটি ব্রিজ নির্মাণকাজ শেষ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। শেষ হয়েছে দাপ্তরিক অবকাঠামো নির্মাণ ও পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণের কাজও।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, সাতটি স্লুইচ গেটের মধ্যে ছয়টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া গত ১৯ জুলাই বিশ্বব্যাংকের বোর্ডসভায় ৫০ কোটি ডলারের একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক, যা দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে নতুন করে আরো সড়ক নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নকাজ করা হবে।
এ বিষয়ে এসবিজি ইকোনমিক জোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমান রুহেল বলেন, বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার দিন শেষ। বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে খুঁজছে। কারণ তারা জানে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে তাদের বিনিয়োগ বিফলে যাবে না।
সার্বিক বিষয়ে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে ১৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। সর্বশেষ চীনের ইয়াবাং গ্রুপ ১০০ একর জমির ইজারা চুক্তি করেছে। এতে তারা প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। এছাড়া ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় তৃতীয় এলওসির আওতায় ১১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে ভারত।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস
