ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চতুর্থ দফা বাড়ছে ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ এর মেয়াদ

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে অগ্রগতি থমকে যাওয়ায় চতুর্থবারের মত বাড়ানো হচ্ছে ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের মেয়াদ। দারিদ্র্য বিমোচনে ২০০৯ সালে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ নামে শুরু হওয়া এ প্রকল্প ২০১৪ সালের জুন মাসে শেষ করার কথা ছিল। সময় মত বরাদ্দের অভাবে এর আগে তিনবার সংশোধন করে এ বছরের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।

এখন পর্যন্ত এ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৭১ দশমিক ১৭ শতাংশ। করোনাভাইরাস এর কারণে গত এপ্রিল থেকে কাজ বন্ধ ছিল এই প্রকল্পের। যে কারণে প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করছে পরিকল্পনা কমিশন।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি সংশোধনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. জাকির হোসেন আকন্দ জানিয়েছেন।

জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, কাজ যা বাকি আছে এক বছর মেয়াদ বাড়ালে আগামী বছরের মধ্যে তা শেষ করা যাবে বলে আমরা আশা করছি।

স্থানীয় মানব সম্পদের ‘সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে’ গ্রামের প্রতিটি বাড়িকে একটি টেকসই কৃষি ভিত্তিক আয়বর্ধক ইউনিট হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু করে সরকার।

২০০৯ সালে শুরুর সময় ৫ বছর মেয়াদের এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। তিনবার সংশোধনে তা ৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকায় পৌঁছায়। তবে এবার ব্যয় ১২৫ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমিয়ে এক বছর মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ।

বছর ভিত্তিক অর্থ বরাদ্দ বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রকল্পটির জন্য ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০১০-১১ অর্থবছরে দেওয়া হয় ১৭৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এরপর ২০১৭-১৮ পর্যন্ত সাত অর্থবছরে যথাক্রামে ৪২৯ কোটি, ৫১১ কোটি, ৫২৮ কোটি, ৫৬২ কোটি, ৪৭৯ কোটি, ৬৯৬ কোটি, ৬৯৬ কোটি টাকা পায় এ প্রকল্প। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এক হাজার ১৭৩ কোটি টাকা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার পর চলতি অর্থবছরে এ প্রকল্পে এক হাজার ২০১ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন