ঢাকা | বুধবার
১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে সাথে বাণিজ্য বাড়াতে রেলপথে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস তাণ্ডবে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। তবে সম্প্রতি স্থলবন্দরগুলো খুলে দেয়া হলেও বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ বন্দর দিয়ে ট্রাক প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ভারত। যদিও বলা হচ্ছিল, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাধার কারণে বাংলাদেশি পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো আটকে দেয়া হয়েছে। তবে সেই সমস্যা এখন দূর হয়েছে।

দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্রটির সাথে বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য নতুন করে রেলযোগাযোগের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে তাদের পণ্য পরিবহনের সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।গতকাল ‘পরীক্ষামূলক’ ভারতীয় পণ্যের প্রথম চালানটি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি সেজুঁতি’। এখন থেকে নিয়ম অনুযায়ী, বন্দর কর্তৃপক্ষ ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য চার্জ আদায় করবে। চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো জাহাজের মালামাল কুমিল্লার বিবিরবাজার কিংবা আখাউড়ার সড়কপথ দিয়ে ভারতের আগরতলায় যাবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ট্রায়াল রানে কী কী সমস্যা হচ্ছে সেগুলো চিহ্নিত করে সংশোধন করার পর নিয়মিত রুট চালু হবে। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের এই উদ্যোগসহ নতুন করে রেলপথের ব্যবহার দু’দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেছেন তারা।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ভারতের সাথে বাণিজ্য বাড়াতে এখন আমরা রেলপথের মাধ্যমে পণ্য আমদানি-রফতানির দিকে জোর দিয়েছি। রেলে পণ্য পরিবহনে খরচ এবং ঝামেলা— দুটোই কমে যাবে। ইতোমধ্যে ট্রেনে পণ্য আমদানি শুরু হয়ে গেছে। রেলে বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটা খুব জোরেশোরে চলছে।

তিনি বলেন, করোনার কারণে বাংলাদেশ ও ভারত, উভয় দেশই সংক্রমণ ঠেকাতে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করে। এতে করে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। আর সেই ক্ষতির পরিমাণ কমাতেই উভয় দেশ রেলপথে পণ্য পরিবহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন