করোনার প্রভাবে শ্রমিক সংকট, পণ্য পরিবহন এবং আর্থিক টানাপোড়েনের মতো সমস্যার সম্মুখীিন হয়েছে কৃষক। যদিও গেল বছরের এই বছরের ফলন প্রায় এক, কিন্তু এই সব সমস্যার কারণে বোরোর উৎপাদন কৃষকের প্রত্যাশিত পরিমাণের চেয়ে সাত শতাংশ (প্রতি একরে চার মণ) কমেছে।
জানা গেছে, কৃষকের প্রত্যাশিত লাভের পরিমাণ ৪০ শতাংশ কমে গেছে । ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল সোমবার (৬ জুলাই) একটি ওয়েবিনারে এই গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন বিআইজিডি’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নারায়ণ দাস।
এই ব্যাপারে বিআইজিডি জানিয়েছে, কর্মক্ষেত্রের বিচারে কৃষি খাত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক ক্ষেত্র। করোনা মহামারির পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুত্থানেও সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে এই কৃষি খাত। করোনা প্রভাবের সময়টি পড়েছে বোরো ধান কাটার সময়ে।
গবেষণার তথ্য থেকে জানা গেছে, কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে ১৩ শতাংশ, কিন্তু কৃষককে বাড়তি মজুরি দিতে হয়েছে ১৭ শতাংশ। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী শতকরা ৯৯ জন কৃষককেই তাদের ধান সরকার নির্ধারিত এক হাজার ৪০ টাকা প্রতি মণের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি করেছেন। এই সব কারণে কৃষকের প্রত্যাশিত লাভের পরিমাণ কমে গেছে ৪০ শতাংশ। পুরো দেশে প্রত্যাশিত উৎপাদনের চেয়ে চার দশমিক ৮২ কোটি মণ বোরোর উৎপাদন কমেছে যার দাম তিন হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা।
বিআইজিডি’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নারায়ণ দাস জানান, গবেষণায় অংশ নেওয়া কৃষকেরা গড়ে ৭৬৫ টাকা মণ ধান বিক্রি করেছেন। ৮০ শতাংশ কৃষক যারা ৯০০ টাকার বেশিতে প্রতি মণ ধান বিক্রয় করতে পেরেছেন, তারা মূল্য নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কৃষকেরা যাতে ফসলের ন্যায্য মূল্য পান সেদিকে নীতিনির্ধারকদের মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে