করোনায় সীমিত আকারে যানবাহন চালু হলেও ভারা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে যাওয়ায় গণপরিবহণের বদলে বাইসাইকেলের দিকে ঝুঁকছে ঢাকাবাসী। সাইকেল আরোহীরা জানিয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি নিরাপদে গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে বাইসাইকেলের চেয়ে ভালো বাহন দ্বিতীয়টি নেই।
পরিবেশবান্ধব এবং নিরাপদ বাহন হিসেবে সারা বিশ্বেই খ্যাতি আছে দুই চাকার বাহন বাই-সাইকেলের। করোনা মহামারিতে নানা শ্রেণি-পেশা এবং নানান বয়সী মানুষের কাছে বাহনটি বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা গণপরিবহনে যাতায়াত করেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে তাদের কাছে বাইসাইকেল যেন নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠছে।
করোনাকালের সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে রাজধানীর নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের এমন সব গল্প। একজন চাকরিজীবী সাইকেল ব্যবহারকারী বলেন, ‘অনেক ঝুঁকি, গণপরিবহনে চড়ার তো প্রশ্নই আসেনা। সাইকেল সবচেয়ে বেস্ট। প্রায় পৌনে ১ লক্ষ টাকা ভাড়া আমি সেভ করি সাইকেল দিয়ে। আর আমার স্বাস্থ্যও ঠিক থাকে।’
একজন চাকরিজীবী জানান, আমি আগে সাইকেলে যাতায়াত করতাম না। কিন্তু করোনার জন্য আমি এই সাইকেলটা কিনেছি। যার কারণে প্রতিদিন কারণে আমার ৬০-৭০ টাকা সেভ হচ্ছে।
অপরদিকে, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বর্তমানে বাইসাইকেলের চাহিদা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা । যার বেশিরভাগ ক্রেতাই এখন চাকরিজীবী।
এই ব্যাপারে দুরন্ত বাইক গ্যালারির ব্যবস্থাপক আলিম আহমেদ জানান, অন্যান্য মাসের তুলনায় এখন বিক্রি অনেক বেশি। ৫০-৬০ পিসের মত হবে, এটা মাসিক গড়ে বিক্রি হচ্ছে। যারা চাকরিজীবী তারাই বেশি সাইকেলটা কিনছে।
এই পরিস্থিতিতে ঢাকার সড়কগুলোতে বাইসাইকেল লেন নির্দিষ্ট করে দেওয়া এখন সময়ের দাবি।
আনন্দবাজারে/এই এস কে