খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে দেশের সব পতিত জমি চাষাবাদ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে ভূমি ও কৃষি মন্ত্রণালয়। করোনাকালে খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবে না বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণার পর ভূমি ও কৃষি মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলেছে, করোনার প্রভাবে অনেক দেশেরই অর্থনীতিতে একটা সংকট আসতে পারে। এর প্রভাব খাদ্য উৎপাদনের ওপর পড়বে। খাদ্য সংকট হবে, এমনকি দুর্ভিক্ষও হতে পারে।
যদিও এখন পর্যন্ত খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো। এটা ধরে রাখতে যথাযথ পরিকল্পনা নিয়ে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে পতিত জমিতে চাষাবাদ নিশ্চিত করা হলে তা উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক হবে বলেও মনে করেন তারা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গত বছর প্রকাশিত ‘রিপোর্ট অন অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল স্ট্যাটিসটিকস ২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ব্যবহৃত জমির পরিমাণ ২২৬ কোটি ৫১ লাখ ৭৪ হাজার শতক। এসব জমির মধ্যে বসতবাড়ি, পুকুর, স্থায়ী ফসলি জমি, অস্থায়ী ফসলি জমির পাশাপাশি পতিত জমিও রয়েছে। পতিত (স্থায়ী ও অস্থায়ী পতিত) জমি রয়েছে প্রায় ১০ কোটি ৮৫ লাখ ১৫ হাজার শতক। যা দেশের মোট জমির প্রায় ৫ শতাংশ।
এ বিষয়ে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বলেছি, তারা যেন কোনো পতিত জমি না রাখেন, সেখানে যেন চাষাবাদের ব্যবস্থা করেন। সেখানে যেভাবে সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘জমির প্রকৃতি অনুযায়ী, কোথাও ধান আবাদ, কোথাও বাগান করা হবে, কোথাও ফলের গাছ লাগানো হবে।’
ভূমি সচিব মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা ডিসি (জেলা প্রশাসক), এডিসি (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক), ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা), এসি ল্যান্ডদের (সহকারী কমিশনার, ভূমি) সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের নির্দেশনা দিয়েছি। পড়ে থাকা জমির বৈশিষ্ট অনুযায়ী যেন চাষ করা হয়। সেখানে যেটা হবে, সেটারই চাষ করা হোক।’
আনন্দবাজার/শহক