ঢাকা | শনিবার
২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পুঁজিবাজারেও

পুঁজিবাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়াতে ‘কালো টাকা সাদা’ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। এছাড়া রিয়েল এস্টেট থেকে শুরু করে ব্যাংক ডিপোজিট- সব ক্ষেত্রেই বিনা প্রশ্নে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে সরকার। ১ জুলাই ২০২০ থেকে এটি কার্যকর হবে।

মাত্র ১০ শতাংশ কর দেওয়ার মাধ্যমে নিজেদের কালো টাকা ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করতে পারবেন নাগরিকরা। অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের যে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন, সেখানেই এ ঘোষণা এসেছে।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, “অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম চালিকাশক্তি পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে তিন বছরের লক-ইনসহ কতিপয় শর্তে আগামী ১ জুলাই ২০২০ থেকে ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত ব্যক্তি শ্রেণির করদাতা পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করলে এবং উক্ত বিনিয়োগের উপর ১০ শতাংশ কর দিলে আয়কর কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না।”

এর আগে ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটেও ১০ শতাংশ কর দিয়ে পুঁজিবাজারে ‘কালো টাকা’ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সে সময় ওই অর্থ দুই বছর পুঁজিবাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া যাবে না বলে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, এবার সেখানে এই সময়সীমা তিন বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারের বাইরেও নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।

মুস্তফা কামাল বলেন, “দেশের প্রচলিত আইনে যা-ই থাকুক না কেন আগামী ১ জুলাই ২০২০ থেকে ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাগণ আয়কর রিটার্নে অপ্রদর্শিত জমি, বিল্ডিং, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্টের উপর প্রতি বর্গমিটারের উপর নির্দিষ্ট হারে এবং গচ্ছিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ড বা অন্য কোনো সিকিউরিটিজের উপর ১০ শতাংশ কর দিয়ে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করলে আয়কর কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না।”

এভাবে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, অর্থনীতির মূল স্রোতে অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়কর অধ্যাদেশে এই ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করছেন তিনি।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন