ফলন ভালো হওয়া সত্ত্বেও করোনা ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে মাগুরার লিচু চাষীরা। করোনার কারণে এবার লিচু ব্যবসায়ীরা লিচু কিনছেন না। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানে নষ্ট হয়ে গেছে অধিকাংশ লিচু।
মাগুরার ইছাখাদা গ্রামের লিচু ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, করোনা ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানে এ অঞ্চলের লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাইকারি ব্যবসায়ী না আশায় লোকসানের মুখে পড়েছেন লিচু চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর ৩০ কোটি টাকার বেশি লিচু বিক্রি হওয়ার কথা ছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারি করোনার কারণে তা এখন ২০ কোটি টাকাও হবে না।
লিচু চাষি হালিমা বেগম জানান, পাইকারি ব্যবসায়ীরা এ বছর আসেননি। আমরা ৭শ টাকা করে এক জন শ্রমিক নিয়ে নিজেরাই শ্রম দিয়ে বাগান থেকে লিচু বেছে ফরিদপুর পাঠাচ্ছি। ওখান থেকে ১২শ টাকা থেকে ১৫শ টাকা করে ফেরত আসছে। তাও দুই চালান পাঠিয়েছি আজ গেলে তিন চালান যাবে, এ পর্যন্ত কোনো টাকা পাইনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহিদুল আমিন জানান, জেলায় এ বছর ব্যাপক লিচুর চাষ হয়েছে। মাগুরা হাজরাপুরী লিচু অন্য জেলার তুলনায় বাজারে আগাম পাওয়া যায় এ জন্য এর চাহিদা বেশি। ঢাকা, খুলনা, গাজীপুর, ফরিদপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলায় এ লিচুর চাহিদা রয়েছে। করোনা ভাইরাস ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে লিচু বাজারজাত করতে সমস্যা হয়েছে।
আনন্দবাজার/টি এস পি