ঢাকা | সোমবার
১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লোকসানে পিরোজপুরের পোল্ট্রি খামারিরা

বর্তমানে চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে লোকসানের মুখে পড়েছেন পিরোজপুরের পোল্ট্রি খামারিরা। করোনার কারণে পরিবহন বন্ধ থাকায় এবং মুরগির খাবারের দাম অতিরিক্ত হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পিরোজপুর জেলায় পোল্ট্রি খামার রয়েছে মোট ১৫৩০টি। যার মধ্যে প্রায় এক হাজারটি রয়েছে বাণিজ্যিক লেয়ার ও ৫৩০টি রয়েছে সোনালি মুরগির (ডিম পাড়ার মুরগি) খামার।

নাজিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পোল্ট্রি খামারি মলয় বেপারী জানান, তার খামারে প্রায় ২ হাজার মুরগি রয়েছে। প্রতি হাজার মুরগির বাচ্চা ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। আর খামার দেখাশোনার জন্য কাজ করছেন দুই জন কর্মচারী। তাদের প্রত্যেকের বেতন বাবদ মাসে ১৫ হাজার টাকা করে ৩০ হাজার টাকা দিতে হয়। প্রতিমাসে ২ হাজার মুরগির জন্য দৈনিক প্রায় ৫ বস্তা খাবার দিতে হয়। প্রতি বস্তা খাবারের দাম ১৮৫০ টাকা। এতে দৈনিক ৯২৫০ টাকা করে মাসে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকার খাবার খরচ হয়, এছাড়া ১০ হাজার টাকার ওষুধ, ১ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিলসহ প্রতি মাসে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়।

তিনি আরও বলেন, খামারের এসব মুরগি হাজার প্রতি দৈনিক ৮০০ থেকে ৮৫০টি ডিম দেয়। খামারে থাকা ২ হাজার মুরগি থেকে দৈনিক ১৬০০ থেকে ১৭০০ ডিম পান তিনি। আর মাসে পান গড়ে ৫০ হাজার ডিম। এ সব ডিম প্রতিটি এখন সাড়ে ৪ টাকা থেকে ৫ টাকা দরে বিক্রি করেন। এতে তিনি প্রতি মাসে সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা পান। এ ডিম বিক্রির পরও প্রতিমাসে তার লোকসান হয় প্রায় ৭০ হাজার টাকা।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার সুদেব সরকার জানান, উপজেলায় থাকা প্রায় ৩৪৭টি পোল্ট্রি খামারিদের নিয়মিত খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। তাদের খামারের ডিম বিক্রিতে যাতে বাজারের সর্বোচ্চ দাম পান সেজন্য জেলার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন মোকামে খোঁজ নিয়ে খামারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে বিক্রির ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা যাতে কোনো হয়রানি ছাড়া সহজে ঋণ পান সেজন্য যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন