ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের বিভিন্ন জেলায় আম্পা‌নের প্রভাব শুরু

ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’। আজ বুধবার (২০ মে) ভোর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে খুলনা হয়ে চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।

আবহাওয়া অফিস জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার (১৯ মে) রাত ৯ টায় মোংলা সমুদ্রবন্দর ৬১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে; কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে; এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এছাড়া, মঙ্গলবার দিনগত শেষ রাত থেকে বুধবার (২০ মে) বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে খুলনা ও চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্য দিয়ে আম্পান বাংলাদেশ অতিক্রম করবে।

এদিকে, মোংলা ও পায়রা বন্দরে আগের মতোই ৭ নম্বর এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে জানানো হয়েছে।

এছাড়া, উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, বরিশালসহ বেশকিছু জায়গায় সৃষ্ট ঘূণিঝড়ের কারণে এসব এলাকায় মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। একইভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও, উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে ঝুকিপূর্ণ বরগুনার আড়াই লাখ মানুষের মধ্যে পঞ্চাশ ভাগ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে বরিশাল জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন