ঢাকা | মঙ্গলবার
১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৬শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কমেনি মসলার দাম বরং বেড়েছে

ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে গত ১৩ মে গরম মসলার দাম ১০ থেকে ২৫ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়। তবে বাস্তবে খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং এক মাস আগের তুলনায় সব ধরনের মসলা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাবি মাস খানিক আগের তুলনায় সব ধরনের মসলার দাম কমেছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, মসলার দাম কমার তথ্য ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। পাইকারি বাজারে কোনো ধরনের মসলার দাম কমেনি। এখনও তারা আগের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি করছে।

অন্যদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার কারণে বন্দরে মাল আটকে থাকায় মসলার দাম কিছুটা বাড়েছিল। তবে এখন মাল আসায় জিরা বাদে সব ধরনের মসলার দাম কমেছে।

তাদের দাবি, খুচরা ব্যবসায়ীরা সঠিক কথা বলছেন না। অনেক খুচরা ব্যবসায়ী আগের বাড়তি দামে কেনা মেমো দোকানে রেখে দেন এবং কম দামে কেনা মেমো সরিয়ে রাখে।

এর আগে ১৩ মে গরম মসলার পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ওই বৈঠকে বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতি গরম মসলার দাম ১০ থেকে ২৫ ভাগ কমানোর ঘোষণা দেয়।

তবে এরপর একে একে পাঁচদিন কেটে গেলেও পাইকারি বাজারে কোনো ধরনের মসলার দাম কমেনি। বরং দাম বাড়ার ঘটনা ঘটেছে।

মসলার পাইকারি প্রতিষ্ঠান রুবেল ট্রেডিংয়ের মালিক মো. রুবেল বলেন, আগের তুলনায় এখন সব ধরনের মসলার দাম কমেছে। জিরার কেজি ৩৪০ থেকে ৩৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দারুচিনি চীনেরটা ৩১০ থেকে ৩১৫ টাকা এবং ভিয়েতনামেরটা ৩৬০ থেকে ৩৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লবঙ্গ ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা এবং এলাচ ২৮০০ থেকে ৩২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সব ধরনের মসলাই এক সপ্তাহ আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। জিরার কেজি ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, দারুচিনি ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, লবঙ্গ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, এলাচ ৩৬০০ থেকে ৪২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে মসলার দাম বাড়ার চিত্র উঠে এসেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনেও। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে জিরার দাম বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এছাড়া দারুচিনির ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং এলাচের ৪ শতাংশ দাম বেড়েছে। তবে লবঙ্গের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

রামপুরার ব্যবসায়ী জহির বলেন, গরম সমলার দাম ১০ থেকে ২৫ শতাংশ কমবে এমন সংবাদ আমরা দেখেছি। কিন্তু বাস্তবে পাইকারি বাজারে কোনো মসলার দাম কমেনি। আগের মতোই বাড়তি দামে গতকাল (১৭ মে) আমরা মসলা কিনছি। ঈদের আগে মসলার দাম আর কমবে বলে মনে হয় না।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন