ঢাকা | বুধবার
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গরুর মাংসের বাজার চড়া, কেজি ৬০০

প্রতিবছর রোজায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন থেকে গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও এ বছর তা করে দেওয়া হয়নি। ফলে ৬০০ টাকাতে ঠেকেছে গরুর মাংসের দাম। তবে কোথাও কোথাও ৬২০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে এই গরুর মাংস।

ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজার মনিটরিং এর অভাবেই ব্যবসায়ীরা নানান অজুহাত দেখিয়ে ইচ্ছামাফিক দাম নিচ্ছে। অপরদিকে বিক্রেতারা বলছে, করোনার কারণে রাজধানীতে গরু ঠিকঠাক আসতেছে না। আবার যেসব গুরু আসছে তার পরিবহন খরচ অনেক বেশি। ফলে বাজার থেকে বাড়তি দামে গরু কিনে আনতে হচ্ছে। এ কারণে মাংসও বিক্রি করতে হচ্ছে বাড়তি দামে।

এদিকে, ৬০০ টাকা কেজি ধরে মাংস কিনলেও ভালো মানের মাংস পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করছে ক্রেতারা। তারা বলছে, অধিকাংশ মাংসই বিক্রির আগে ওজন বাড়ানোর জন্য পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়। রাজধানীর বাজার  ঘুরেও এই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।

খিলগাঁওয়ে কালু মিয়া নামের এক মাংস ব্যবসায়ী বলেন, অনেকেই মাংস বিক্রির আগে ওজন বাড়ানোর জন্য পানিতে চুবিয়ে রাখে। একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন সেই সব মাংস থেকে পানির ফোটা পড়ছে। এসময় তিনি নিজেরে দোকানের মাংস ফ্রেশ দাবি করে বলেন, এই কারণে আমি মাংসের কেজি ৬২০ টাকা রাখছি।

অন্যদিকে, মিরপুরের ১২ নম্বর বাজারের পাশাপাশি চারটি দোকানে গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা যায়। প্রতিটি দোকানে ৬০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে এসব মাংস থেকে পানির ফোটা পড়তে দেখা যায়।

কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, মাংসে পানি না দিয়ে শুকিয়ে যায়। কালার নষ্ট হয়ে যায়। আবার রক্ত লেগে থাকে। তাই পানিতে ধোয়া হয়েছে। এতে মাংসের ওজন একটুও বাড়বে না। কারণ, মাংসের ভেতরে পানি ঢুকতে পারবে না।

বাজারটিতে থেকে তিন কেজি গরুর মাংস কেনা আশিক মিয়া বলেন, রোজায় গরুর মাংসের চাহিদা একটু বেশি থাকে। এ কারণে এর আগে প্রতিবছর দেখেছি রোজায় সিটি করপোরেশন থেকে গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কিন্তু এবার দাম নির্ধারণ করা হয়নি। ব্যবসায়ীরা তার সুযোগ নিয়ে ইচ্ছামাফিক দাম বাড়াচ্ছে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন