দেশের পাইকারি বাজারে কমতে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের দাম। বন্দরে পণ্য খালাস স্বাভাবিক হওয়ায় পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে বলেই দাম নিয়ন্ত্রণে এসেছে ভোগ্যপণ্যের। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি ত্রাণের প্রবাহ কমে এসেছে এবং রমজানের বাড়তি বিক্রির চাপও কমতির দিকে থাকায় পাইকারি বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমেছে।
দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। যেখানে ঘুরে দেখা যায়, কেজিতে ২২ টাকা কমেছে খেসারি ডালের দাম। গত দেড় মাসে কয়েক দফা বেড়ে গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিকেজি খেসারি ডাল বিক্রি হয়েছে ৯৭ টাকায়, যা বর্তমানে ৭৫ টাকায় নেমে এসেছে। একইসাথে কেজিতে ৫ টাকা কমে প্রতি কেজি মটর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আবার গত তিন-চারদিনে ৫ টাকা কমে বর্তমানে প্রতি কেজি ছোলার ডাল ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা ও বিক্রি কমায় চলতি সপ্তাহে সাদা মটরের দাম ৩৬-৩৭ টাকায় নেমে এসেছে।
এদিকে,পাইকারি বাজারে মসলার দামেও কমতে শুরু করেছে। পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। যা গত এক মাস ধরে পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকার ওপরে ছিল।করোনা সংক্রমণের পর আকাশ ছুঁয়েছিল আদার দাম। গত কয়েকদিন আগেও প্রতি কেজি আদা বিক্রি হয়েছে ২০০-২৫০ টাকায়। গতকাল পণ্যটি কেজিপ্রতি ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। একই সময় কেজিতে ৪০ টাকা কমেছে রসুনের দাম। কমেছে জিরার দামও। এক সপ্তাহে কেজিতে ৮০ টাকা কমে বর্তমানে প্রতি কেজি জিরার দাম ৩৭০ টাকায় নেমে এসেছে। এছড়াও চিনি ও শুকনো খাদ্যপণ্য চিড়া দামও কমেছে বেশ।
অন্যদিকে, বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম কমলেও আগের মতো রয়েছে চাল ও ছোলার দাম। গত এক মাসে পাইকারি বাজারে বিভিন্ন মানের চালে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ৬০০-৭০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। মণপ্রতি ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হওয়া ছোলার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪০০ টাকা।
নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চিটাগাং চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্দরে কনটেইনার ও জাহাজজট তৈরি হয়েছিলো। দিনের পর দিন পণ্যগুলো আটকে থাকায় একদিকে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের ড্যামারেজ দিতে হয়েছে, অন্যদিকে বাজারে পণ্যের দামে বেড়েছে। তবে পরিস্থিতি আগের তুলনায় স্বাভাবিক হতে শুরু করায় সরবরাহ সংকট কেটে দাম কমছে নিত্যপণ্যের।
আনন্দবাজার/শহক