ঢাকা | মঙ্গলবার
১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগাম ধানে কৃষকের মুখে হাসি

হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় আগাম ধান ঘরে তুলতে পেরে কৃষকের মুখে হাসি ফিরেছে। এতে দামও ভালো পাচ্ছে তারা। জমি থেকে কেটে খলায় এনে মেশিন দিয়ে ধান বের করে সেখান থেকেই প্রতি মণ ধান (ভেজা) ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছেন তারা। আর নতুন ধানই শুকনো হলে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকায় বিক্রি করতে পারছে।

কৃষকরা বলছেন, ধানের এই দাম বজায় থাকলে তারা পুষিয়ে নিতে পারবেন। করোনাভাইরাসের মধ্যে  ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে সংশয় ছিল, তাও কেটে গেছে কৃষকদের। এতে খুশি কৃষি কর্মকর্তারাও।

বগুড়া জেলার চরপাড়া গ্রামের ধান ব্যবসায়ী মজিবর রহমান জানান, জমি থেকে কেটে খলায় এনে মেশিন দিয়ে ধান বের করে সেখান থেকেই প্রতি মণ ধান (ভেজা) ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাড়ির ওপর থেকেই এখন নতুন ধান এই দামে বেচাকেনা হচ্ছে।

হাওর জেলা সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় খবর নিয়ে জানা গেছে, জেলার তাহিরপুর উপজেলায় সর্বোচ্চ দামে ধান বিক্রি হচ্ছে। এখানে প্রতি মণ ধানের দাম ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার পাগনার হাওরের কৃষক আকবর হোসেন জানান, সেখানে প্রতি মণ ধান এখন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, অনেক কৃষক তাৎক্ষণিক টাকার প্রয়োজন মেটাতে ধান কেটে এনে খলা থেকেই বিক্রি করে দিচ্ছেন।নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়িতে কৃষকরা খলা থেকে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা মণ দরে (ভেজা) ধান বিক্রি করছেন। এক মণ ধান শুকালে ৩০ কেজি হবে। সে হিসাবে কাচা ধানের এই দাম মন্দ নয়।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন