দেশব্যাপী করোনা আক্রান্ত মহামারিতে জামানত ছাড়াই নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ কর্মসূচি নিয়েছে সরকার।
রোববার (০৩মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিট থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রয়োজনে এই তহবিলের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করা হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাপকহারে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে দেশের নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাঁদের আয় উৎপাদন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারছেন না। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে রাখার জন্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পুনঃ অর্থায়ন স্কিম গঠন করা হয়েছে। এই স্কিমে তহবিলের পরিমাণ ৩ হাজার কোটি টাকা। তবে প্রয়োজনের পরিমাণে বাংলাদেশ ব্যাংক তহবিলের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করতে পারবে।
এদিকে, ৩ হাজার কোটি টাকার এই কর্মসূচির মূল বিষয় হলো, কোনো মর্টগেজ বা বন্ধকের প্রয়োজন নেই বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বন্ধক ছাড়া প্রান্তিক কৃষক, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা, প্রতিষ্ঠান এই নীতিমালার আওতায় ঋণ সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন। এই নীতিমালার মাধ্যমে উপকারভোগীরা খুব সহজে ঋণ সুবিধা পাবেন। বিশেষ করে নারীরা এই ঋণে বেশী সুবিধা পাবেন। কৃষক, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ঋণ দেবে এনজিওগুলো। ফলে এই বিনিয়োগটি হবে অত্যন্ত নিরাপদ একটি বিনিয়োগ।
কেননা এ ক্ষেত্রে অর্থায়নকারী ব্যাংকের কাছে সরাসরিভাবে দায়বদ্ধ হবে আমানত গ্রহণকারী এনজিও। এছাড়া, এই স্কিমের আওতায় ঋণের যথেচ্ছ ব্যবহারের সুযোগ নেই, কারণ এই ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে আমানত গ্রহণকারী এনজিওকে তাদের বিগত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের দক্ষতা মূল্যায়নের ভিত্তিতে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, ঋণের মেয়াদ চলাকালে ঋণগ্রহীতার কোনো সমস্যার প্রয়োজনে এই নীতিমালায় বিমার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে যাঁরা ইতোমধ্যে ঋণখেলাপি, তাঁরা এ ঋণ পাবেন না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আনন্দবাজার/শাহী