করোনাভাইরাসের কারণে বাতিল হয়ে গেছে দেশের পোশাক খাতের অধিকাংশ অর্ডার। তবে আশার কথা হচ্ছে এরপরও ৪ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার রয়েছে এই খাতে। আর এই অর্ডার হাতছাড়া না করতেই খোলা হয়েছে অধিকাংশ কারখানা।
গার্মেন্ট মালিকরা জানান, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সব কারখানা খুলে দিতে চান তারা।
তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া করা হয়েছে শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা, জীবাণুনাশক দিয়ে জুতা পরিষ্কার, হাত ধোয়াসহ নানা ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ প্রতি বছর তৈরি পোশাক রফতানি করে আয় করে ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। গত অর্থবছরে (২০১৮-১৯) তৈরি পোশাক রফতানি করে ৩৪ বিলিয়ন (৩ হাজার ৪১৩ কোটি) ডলার আয় হয়েছিল। এই অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৮ বিলিয়ন (৩ হাজার ৮২০ কোটি) ডলার। এর মধ্যে বিদেশি ক্রেতারা ৮ বিলিয়ন ডলারের রফতানি আদেশ বাতিল করেছে।
বিকেএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, যেসব অর্ডার এখনও বহাল আছে, সেগুলো ঠিক রাখতে কারখানা চালু করা হচ্ছে। প্রতি মাসে গড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার থাকে। এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই এই চার মাসের অর্ডার থাকার কথা ১২ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ৮ বিলিয়ন ডলার বাতিল হয়েছে। বাকি ৪ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার এখনও আছে। এই অর্ডার বাঁচানোর লক্ষ্যেই কারখানাগুলো খোলা হচ্ছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস