করোনা প্রকোপের মধ্যে বেশ কয়েক দফায় চালের দাম বাড়ার পর এখন দাম কিছুটা কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে কেজিতে চালের দাম কমেছে সাত টাকা পর্যন্ত। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেছে বিক্রি কম তাছাড়া কয়েকদিনের ভিতরে নতুন ধানের চাল বাঁজারে আসতে শুরু করবে তাই চালের এই দাম কমেছে।
ব্যবসায়ীদের কাছথেকে জানা যায়, করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার শুরুতেই চাল বিক্রি বেড়ে যায়, তখন চালের দামও বাড়ে। এরপর মাঝে কিছুটা বিক্রি কমলে দাম কমে। তবে রোজার আগে ফের চালের চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়ে যায়। এখন আবার চাহিদা কমে গেছে। এ কারণে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম কমিয়ে চাল বিক্রি করে দিচ্ছেন। তবে চালের দাম এখনও করোনার আগে যা ছিল তার থেকে অনেকটায় বেশি।
তারা আরও জানায়, কিছুদিনের মধ্য বাজারে নতুন চাল আসবে। তখন দাম অনেকটা কমে যাবে। সুতরাং এখন চাল ধরে রাখলে লোকসানের মুখ দেখতে হবে। এ কারণে লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে খুচরায় দাম কমিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পাইকারিতে এখনও চালের দাম কমেনি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা কেজি, যা রোজা শুরু হওয়ার আগে ছিল ৬২ থেকে ৬৮ টাকা কেজি। এছাড়াও দাম কমার তালিকায় রয়েছে মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা এবং গরিবের মোটা চালও।
এখন মাঝারি মানের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা, যা রোজার আগে ৫৫ টাকা পর্যন্ত উঠে ছিল। গরিবের মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৪০ টাকা, যা রোজার আগে ৫০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। অথচ করোনার আগে ছিল ৩২ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে।
খিলগাঁওয়ের তালতলার চাল ব্যবসায়ী জানে আলম ভূঁইয়া বলেন, পাইকারিতে চালের দাম কমেনি। এখন বিক্রি তেমন নেই। এ কারণে আমরাই কম দামে চাল বিক্রি করে দিচ্ছি। তবে কিছুদিন পর নতুন চাল আসবে। তখন পাইকারিতে চালের দাম কমবে বলে আশা করছি।
আনন্দবাজার/শহক