রমজানে বেড়েছে দুধের বিক্রি। একই সাথে বেড়েছে দুধের দামও। কয়েকদিন আগেও যে দুধ ১০ থেকে ১৫ টাকা লিটার বিক্রি করেছেন, সেই দুধ এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকা লিটার বিক্রি করছেন তারা। এতে স্বস্তি ফিরেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি দুগ্ধ খামারিদের মাঝে। নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন স্বল্প পুঁজির এসব দুধ ব্যবসায়ী।
সিরাজগঞ্জের খামারিরা জানান, তাদের কাছ থেকে মিল্ক ভিটাসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান লিটার প্রতি সাড়ে ৩৯ টাকা দামে দুধ কিনছে। যারা খুচরা বিক্রি করছেন তারা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা লিটার দুধ বিক্রি করতে পারছে। এছাড়া চুক্তিবদ্ধ খামারিদের কাছ থেকে দিনে ২ লাখ লিটার দুধ সংগ্রহ করছে প্রাণ ডেইরি।
করোনার কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের সকল অফিস আদালত ও পরিবহন বন্ধ হওয়ার কারণে দোকানপাট, রেস্তোরাঁসহ সব বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি টং দোকানে চা বিক্রিও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দুধের লিটার নেমে আসে ১০ টাকায়। কেউ কেউ পাঁচ টাকা লিটারও দুধ বিক্রি করেছেন। এতে হাজার হাজার লিটার দুধ বিক্রির অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে।
খামারিরা বলছেন, করোনার কারণে দুগ্ধ তারা যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তা কাটিয়ে উঠতে অনেক দিন সময় লেগে যাবে। এর আগে একদিকে গো-খাদ্যের দাম বেশি, অন্যদিকে দুধের দাম কম-সবমিলিয়ে চরম বিপাকে পড়েন খামারিরা।
দেশের বিভিন্ন স্থানের খামারিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, রমজান উপলক্ষে অনেক গ্রাহক এখন দুধ কিনছেন। তাছাড়া আশপাশের বাজারেও কিছু কিছু দোকান খুলছে। অনেকে সীমিত আকারে হলেও মিষ্টি এবং দধির দোকান খুলেছেন। সে কারণে দুধের চাহিদাও বেড়ে গেছে। তবে এর সঙ্গে খামারিদের আবার কিছুটা শঙ্কাও রয়েছে। তারা বলছেন, রমজানের পরে যদি করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হয় এবং আবার যদি সব বন্ধ হয়ে যায় তখন কী হবে?
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম গত ২ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, মন্ত্রণালয় থেকে গবাদিপশুর খাদ্য, দুগ্ধজাতপণ্য নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণন সচল রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সকল জেলা প্রশাসক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেয়া হয়েছে।
তবে খামারিরা বলছেন, গত একমাসেও মন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত বাস্তবয়ন হয়নি।
আনন্দবাজার/শহক