দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা এখনও লোকসান দিয়েই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এইদিকে ঢাকায় প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু খামারিরা এর দাম অর্ধেক অর্থ্যাৎ প্রতি কেজি মুরগি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দামে বিক্রি করছে।
খামারিরা বলছেন, এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ১০০ থেকে ১১০ টাকা। আর সেখানে আমরা বিক্রি করছি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। এবার করোনার কারণে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা যে লোকসানে হয়েছে, তা আর কোনোদিন পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না বলে মনে করছন খামারিরা।
রংপুরের পোল্ট্রি খামারি মো. হাসান বলেন, আমি তিন হাজার মুরগি নিয়ে খামার করেছি। করোনার কারণে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ায় অনেক কম দামে মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে। এক কেজি মুরগি তৈরী করতে আমাদের খরচ হয় ১০০-১১০ টাকা অথচ আমরা বিক্রি করছি ৬০-৭০ টাকা। প্রতি কেজি মুরগিতে প্রায় ৪০ টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
মাগুরা সদর উপজেলা পোল্ট্রি খামারি অনুপ দত্ত। তিনি বলেন, রমজানের এই সময়ে প্রতি কেজি মুরগি ফার্মেই খুচরা বিক্রি হওয়ার কথা ছিল ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা। আর পাইকারি ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করতাম। সেখানে করোনা পরিস্থিতির কারণে পাইকারি এক কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকায়। খাবারের দোকান ও ওষুধের দোকানে বাবি। লোনবাবদ প্রায় ৪০ লাখ টাকার মতো দেনা রয়েছি। এমন অবস্থায় চরম দুশ্চিতায় আছি।
পোল্ট্রি এবং ডেইরি শিল্পে আর যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
পোল্ট্রি ফার্মের মালিকরা বলছেন, পরিবহনজনিত সমস্যার কারণে খামারে কোনো ব্যাপারি যান না। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায় না। বরং মুরগির গাড়ী একস্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে পুলিশ নানা রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
’আনন্দবাজার/শহক