ঢাকা | রবিবার
২৫শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাম্মাম ও রক মেলন চাষ করে ভাগ্য বদলেছে ৩ তরুণ

সৌদি আরবসহ মরু অঞ্চলের দেশগুলোর বেশ জনপ্রিয় ফল সাম্মাম ও রক মেলন চাষ করে এবার ভাগ্য বদলেছে সুনামগঞ্জের ছাতকে  তিন তরুণ। দেশীয় বাঙ্গির মতো দেখতে সাম্মাম সাধারণত দুই ধরনের হয়- একটি হচ্চে হলুদ মসৃণ খোসা আর অন্যটির খোসার অংশ খসখসে।

বিদেশিদের জনপ্রিয় এই ফল দুটি ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের কালারুকা গ্রামের সৌখিন চাষি রিয়াজ উদ্দিন, চানপুর গ্রামের বুরহান উদ্দিন ও রাজাপুর গ্রামের এনাম চাষ শুরু করেছেন। প্রথমে চার বিঘা জমিতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি তারা এ চাষ শুরু করেন। এরই মধ্যে ভালো ফলও পেতে শুরু করেছেন। পাইকারি বিক্রির পাশাপাশি  এ ফল স্থানীয় খুচরা বাজারেও বিক্রি করার পরিকল্পনা করছেন তারা।

সাম্মামের পাশাপাশি রক মেলন নামে আরও একটি বিদেশি ফল চাষাবাদ করেছেন তারা। রক মেলন চাষরে জন্য মাচা তৈরি করা জরুরি। মাটি থেকে আনুমানিক ৫ ফুট উঁচুতে মাচা তৈরি করতে হয়। রক মেলন আবাদে রোদও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষামূলকভাবে আবাদে রক মেলন গাছে ফলন দেখে তারা অনেক আশাবাদী বলে জানান তারা।

বুরহান উদ্দিন বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে ছোট পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ শুরু করেছেন। তবে আগামীতে বড় পরিসরে চাষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

রিয়াজ জানান, পাকা সাম্মাম ফলের স্বাদ অত্যন্ত মিষ্টি। ভেতরের রঙ পাকা পেঁপের মতো। হলুদ রঙের এ ফলটি দেখতে ভিন্নরকম এবং খেতেও খুবই মিষ্টি।

এনাম বলেন, ‘রাজাপুর এলাকায় চার বিঘা জমিতে সাম্মাম ও রক মেলন জাতের ফল আমরা চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। নতুন জাতের ফল চাষাবাদ দেখতে প্রতিনিয়ত লোকজন ক্ষেতে যাচ্ছেন।’

তাদের এ কর্মকাণ্ড দেখে এলাকার অনেক সৌখিন চাষিও নতুন জাতের ফল উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছেন।

এ বিষয়ে ছাতক উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, সাধারণ তরমুজের চেয়ে এর স্বাদ অনেক ভালো, মিষ্টিও বেশি। মালচিং পদ্ধতিতে ইয়েলো কিং ও সাগর কিং জাতের ফল চাষ করা হয়েছে। সাধারণত ৬০ দিনেই এ ফসল বাজারজাত করা যায়। এ ফলে ক্যালসিয়াম, লৌহ ও ভিটামিন রয়েছে। শতকরা ৯৫ ভাগ জলীয় অংশ থাকায় এটি মানব দেহের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও শরীর শীতল রাখে।

আনন্দবাজার/রনি

সংবাদটি শেয়ার করুন