ঢাকা | শনিবার
৩রা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্রেতা সংকটে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি

নীলফামারীর কাঁচা সবজি জেলার চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যেত। লকডাউনের কারণে পাইকাররা সবজি বাহিরে নিয়ে যেতে পারছেন না। ফলে অধিকাংশ সবজি জমিতেই নষ্ট হচ্ছে। চাষিরা এখন চরম হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। পানির দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরণের সবজি।

স্থানীয় পাইকারি বাজারে বর্তমানে বিভিন্ন সবজির দাম- লম্বা বেগুন ৫০ টাকা মণ, টমেটো ২শ’ টাকা মণ, করোলা ১৫০ টাকা মণ, শশা ২শ’ টাকা মণ, কাচা মরিচ ৮ শ’ মণ। এছাড়া যে কোন ধরনের শাক ২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, নীলফামারী জেলার অর্থকরী সবজি হচ্ছে বেগুন, করোলা, টমেটো, চালকুমড়া ও কাঁচামরিচ। এবার জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৪০২ হেক্টর জমি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৮ হাজার ৩ শত ৮০ মেট্রিক টন। ফলন এবারো হয়েছে ভাল। তবে করোনা চাষিদের ভাগ্য উলট পালট করে দিল। এখন লাভ তো দূরের কথা, জমিতে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকে বাজারে এনে ন্যায্য দাম না পেয়ে ফেলে দিয়ে যাচ্ছে।

জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান জানান, এবার জেলায় সবজির খুব ভাল ফলন হয়েছিলো। কিন্তু মহামারি দুর্যোগ সব নষ্ট করে দিল।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন