ঢাকা | বুধবার
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংকট ছোট মোড়কজাত পণ্যের, বেড়েছে দামও

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে সরকার অঘোষিত লকডাউন। এ পরিস্থিতিতে সবকিছু বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষরা। তাদের সহায়তায় ত্রাণ দেয়ার প্রয়োজনে বাজারে চাল-ডালের পাশাপাশি বেড়েছে ছোট মোড়কজাত ভোগ্যপণ্যের চাহিদাও। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এসব পণ্যের সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে খুচরা বাজারে। সেই সাথে দামও বেড়েছে।

জানা যায়, সরকারি ত্রাণের পাশাপাশি বেড়েছে বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ। সেজন্য চাহিদা বেড়ে গেছে ৫০০ মিলিলিটার ও এক লিটার ভোজ্যতেল, এক কেজির আটা ও ময়দা, লবণ, মিনি সাবান, চিনিসহ ছোট প্যাকেটের ভোগ্যপণ্যের। তবে চাহিদামতো সরবরাহ না থাকায় গায়ের দামের থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য।

দেশের অন্যতম ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক ও মোড়কজাতকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, বর্তমান সময়ে ভোগ্যপণ্য আমদানি, মোড়কজাত, বিপণন ও সরবরাহে নানামুখী সংকট দেখা দিয়েছে। আসন্ন রমজান ও ত্রাণের কারণে পণ্যের চাহিদা বেড়ে গেছে। কিন্তু লকডাউনের কারণে শ্রমিক সংকট তীব্র। উৎপাদনের পর পণ্য পরিবহন ও বিপণন চেইন ভেঙে পড়েছে। এর পরও আমরা চেষ্টা করছি এ সময়ে মানবিক কারণে ৬৪ জেলায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য পৌঁছে দিতে।

চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মোড়কজাত পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে কোম্পানিগুলো। সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে মোড়কজাত ভোজ্যতেলের দাম। এছাড়া আটা, ময়দাসহ অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো।

মোড়কজাত ভোজ্যতেলে এক লিটারের (পলিপ্যাক) দাম ৯৮ থেকে বাড়িয়ে ১০৬ টাকা করা হয়েছে। বোতলজাত ভোজ্যতেল এক লিটারের দাম ১০৬ থেকে বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, দুই লিটারের দাম ২১১ থেকে বাড়িয়ে ২২৬ টাকা এবং পাঁচ লিটারের দাম ৫১৫ থেকে বাড়িয়ে ৫৪০ টাকা করা হয়েছে। মোড়কজাত এক কেজি ওজনের আটা-ময়দার দামও বাড়ানো হয়েছে। প্রতি কেজি প্যাকেটজাত আটা ও ময়দার দাম বাড়ানো হয়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। কেজিপ্রতি আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৪ থেকে (কোম্পানিভেদে) ৩৬ টাকা এবং ময়দা ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা।

আনন্দবাজার/ টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন