করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে বাংলাদেশ।
তিন বছর মেয়াদী এ তহবিলের পরিমাণ প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদে ৭৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন গ্রাহকেরা।
সোমবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে দেশের নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা তাদের আয় উৎসারী কার্যক্রম চালাতে পারছেন না। গ্রামীণ অর্থনীতিতে দেশের নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের অবদান অস্বীকার করা যাবে না।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলমান রাখতে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলো এ অর্থ পাবে ১ শতাংশ সুদে। অর্থায়নকারী ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ গ্রহণ করবে। গ্রাহক পর্যায়ে বার্ষিক মুনাফা হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ পর্যন্ত। যা ক্রমহ্রাসমান স্থিতি পদ্ধতিতে হিসাবায়ন হবে। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো ভর্তি ফি, পাস বই, ঋণ ফরম এবং ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামার খরচ ছাড়া অন্য কোনো চার্জ আদায় করতে পারবে না। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের নিকট থেকে সাপ্তাহিক/মাসিক কিস্তিতে ঋণের অর্থ আদায় করবে। অর্থায়নকারী ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানকে প্রদত্ত তহবিল আদায়ের ক্ষেত্রে তিন মাসের গ্রেস পিরিয়ড দেবে।
আনন্দবাজার/তা.তা