মরণঘাতী করোনাভাইরাসের চিকিৎসার সকল খরচ সরকারিভাবে বহন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি জানান, ‘করোনার নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু থেকে সকল চিকিৎসা খরচ সরকারিভাবে আমরা করে যাচ্ছি। এখানে পরীক্ষা থেকে শুরু করে চিকিৎসা পর্যন্ত কোনো টাকা পয়সা নেওয়া হয় না। সকল ধরনের খরচ সরকার বহন করছে।’
শনিবার (১৮ এপ্রিল) একাদশ জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা জানান।
এদিকে, এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ঘণ্টাব্যাপী এই অধিবেশনের শুরু হয়। মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় ৬০ দিনের মাথায় এবারের অধিবেশন বসে। টানা এক ঘণ্টা সংসদে চলার পর শেষ হয় সপ্তম অধিবেশন। দেশের ইতিহাসে এটি বিরল ঘটনা। শুরুর দিনেই অধিবেশন শেষ।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকল ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি। আমরা প্রত্যেকটা স্থানে বিশেষ করে স্থলবন্দর, নৌ-বন্দর, বিমানবন্দরসহ সকল জায়গায় পরীক্ষা করার জন্য থার্মালস্ক্যানার ও ইনফারেড থার্মোমিটারের মাধ্যমে স্কিনিং করা শুরু করেছি।’
তিনি আরও জানান, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে সব সেক্টরকে অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় কমিটি করে দিয়েছি। করোনায় বিভিন্ন সংস্থা থেকে সহায়তা করা হচ্ছে। ইউকেএইড, ইউএসএইডসহ বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।’
এছাড়া, করোনার নমুনা সংগ্রহে কীটের কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘এখন পর্যন্ত আমরা ৯২ হাজার পরীক্ষার কীট সংগ্রহ করেছি। এরমধ্যে ২০ হাজার কীট বিতরণ করা হয়েছে এবং ৭২ হাজারের মতো মজুত রাখা হয়েছে। কীট সরবরাহ চলমান রয়েছে। কাজেই কীটের অভাব হওয়ার কোনো লক্ষণ এখন নেই।’
আনন্দবাজার/শাহী