এক হাজার ৮৮টি কারখানার শ্রমিকরা এখনো বেতন-ভাতা পরিশোধ পাইনি।
দেশের এখন পর্যন্ত ২১ লাখ ৫৯ হাজার ১০০ পোশাক শ্রমিককে মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, যা দেশে কর্মরত শ্রমিকদের ৮৭ শতাংশ। এদিকে, দেশে কর্মরত তিন লাখ ১৩ হাজার ৩১৭ শ্রমিক এখনো মার্চ মাসের বেতন পাননি, যা কর্মরত শ্রমিকদের ১৩ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) বিজিএমইএ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, দেশে কারখানায় কর্মরত ২৪ লাখ ৭২ হাজার ৪১৭ শ্রমিক রয়েছে। এর মধ্যে বিজিএমইএর সদস্য দুই হাজার ২৭৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক হাজার ৬৬৫টি প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেছে। অর্থাৎ ৭৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের মার্চের বেতন পরিশোধ করেছে। এছাড়া ঢাকার ৯৭ এবং চট্টগ্রামের ১১৯ প্রতিষ্ঠানের বেতন পরিশোধ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এর আগে বুধবার বিজিএমইএ থেকে জানানো হয়, দুই হাজার ২৭৪ কারখানার মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় রয়েছে ৩৭২টি। যার মধ্যে মার্চের বেতন দিয়েছে ২০১ প্রতিষ্ঠান। গাজীপুরের ৮১৮ কারখানার মধ্যে বেতন দিয়েছে ৪৩২টি, সাভার আশুলিয়ায় ৪৯১টির মধ্যে বেতন দিয়েছে ২৪৩, নারায়ণগঞ্জে ২৬৯ পোশাক কারখানার মধ্যে বেতন দিয়েছে ১১৮, চট্টগ্রামের ৩২৪ কারখানার মধ্যে ১৫৬ এবং প্রত্যন্ত এলাকার ৪২টি গার্মেন্টসের মধ্যে ৩৬ গার্মেন্টসের মালিকরা মোট ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৬০০ শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করেছেন।
বিপরীতে বুধবার পর্যন্ত এক হাজার ৮৮টি কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেননি মালিকরা।
বেতন না পেয়ে করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগকালীন সময়েও মার্চ মাসের বেতন-ভাতার দাবিতে প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা।
সংগঠনটির সভাপতি আমিরুল হক আমিন এ বিবৃতিতে বলেন, প্রায় ১৩ শতাংশ পোশাক শ্রমিক আজও মার্চ মাসের বেতন-ভাতা পেল না। অথচ ১৬ এপ্রিলের মধ্যে সব গার্মেন্টসে বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়ে ছিলো। আবার কোনো কোনো মালিক মার্চ মাসের পাঁচ দিনের বেতন কর্তন করেছেন, এটিও বেআইনি এবং অন্যায়। তাই অবিলম্বে সব পোশাক শ্রমিকের বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়ে অবিলম্বে এসব মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আনন্দবাজার/শহক