করোনার কারণে ফ্লাইট বন্ধ থাকার পরেও টিকিটের টাকা ফেরত দেয়নি অধিকাংশ বিদেশি এয়ারলাইন্স। ওমরাহ ও পর্যটক ভিসার ১১ হাজার টিকিটের বিপরীতে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর কাছে আটকে আছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশের ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোর সংগঠন আটাব।
এমন পরিস্থিতিতে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর রেমিটেন্স পাঠানো সাময়িক স্থগিত রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি পাঠিয়েছে আটাব।
করোনার সংক্রমণরোধে ফেব্রুয়ারি থেকে আকাশপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বর্তমানে চীন ছাড়া প্রায় সব দেশের সাথেই বাংলাদেশের যাত্রীবাহী বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এয়ারলাইন্সগুলো নিজস্ব কারণে ফ্লাইট বাতিল করলে নিয়ম অনুযায়ী টিকিটের টাকা ফেরত দিতে হয়। কিন্তু তা না করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ভ্রমণের ভাউচার অফার করা হচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো থেকে।
তবে আটাব বলছে, ইস্যু করা টিকিটের মূল্য সমন্বয় বা ফেরত না পেলে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়েটাকে অর্থ পরিশোধ করা অসম্ভব হয়ে পরবে। ফলে পথে বসবে ট্র্যাভেল এজেন্টরা। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংককে।
আটাব সভাপতি মনছুর আহমেদ কালাম জানান, এই মুহূর্তে যদি আমাদের বাঁচার জন্য টিকিটের রিফান্ড সমন্বয় করার চেষ্টা করা হতো তাহলে আমাদের চলতো। কিন্তু তা হচ্ছে না। কাজেই আমরা এয়ারলাইন্সগুলো ক্যাশ ফেরত চাই।
এদিকে ২৬ ফেব্রুয়ারি সৌদি সরকার ওমরাহ ভিসা স্থগিতের পর বাংলাদেশ বিমানসহ সব এয়ারলাইন্স টিকিটের টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো পায়নি ৫ হাজার ওমরা যাত্রী।
আনন্দবাজার/তা.তা